অপ্রত্যাশিত হারের পর চেনা ছন্দে শ্রীলঙ্কা। আরব আমিরাতকে দুমড়েমুচড়ে দাসুন শানাকার দল জিতেছে ৭৯ রানের বড় ব্যবধানে। গ্রুপ ‘এ’র অন্য ম্যাচে নামিবিয়ার রূপকথা থামিয়েছে নেদারল্যান্ডস।
স্নায়ুর চাপ সামলে তিন বল হাতে রেখে টানা দ্বিতীয় জয় ডাচদের। তাতে জমে উঠেছে সুপার টুয়েলভের সমীকরণ। শ্রীলঙ্কা, নেদারল্যান্ডস, নামিবিয়া—তিন দলেরই সুযোগ আছে পরের রাউন্ডে যাওয়ার।
কাগজে-কলমে ছিটকে না গেলেও আরব আমিরাতের বিদায় সময়ের অপেক্ষা শুধু। সমান দুই ম্যাচ শেষে নেদারল্যান্ডসের পয়েন্ট ৪, নামিবিয়ার ২, শ্রীলঙ্কার ২ ও আরব আমিরাতের ০। ডাচদের নেট রান রেট +০.১৪৯, নামিবিয়ার +১.২৭৭, শ্রীলঙ্কার +০.৬০০ ও আরব আমিরাতের -২.০২৮।
আগামীকাল শেষ ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের মুখোমুখি শ্রীলঙ্কা আর নামিবিয়া খেলবে আরব আমিরাতের বিপক্ষে। শ্রীলঙ্কা ও নামিবিয়া জিতলে ডাচদের সঙ্গে পয়েন্ট হবে সমান ৪। সে ক্ষেত্রে নেট রান রেটে নির্ধারিত হবে সুপার টুয়েলভ।
তিন দলের মধ্যে নামিবিয়ার রান রেট সবচেয়ে ভালো। তাই তারা আরব আমিরাতকে হারালেই পেয়ে যাবে সুপার টুয়েলভের টিকিট। ডাচরা জিতলেও যাবে পরের রাউন্ডে। তবে এশিয়া কাপ জয়ী শ্রীলঙ্কার শুধু জিতলেই হবে না, ব্যবধানটাও বড় হতে হবে।
এ জন্য আরব আমিরাতকে ৭৯ রানে হারিয়েও শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক দাসুন শানাকার আক্ষেপ, ‘আমরা ১৮০-১৯০ রান করতে পারতাম। দেড় শতে থামাটা হতাশার। মিডল অর্ডারে ভালো করিনি, দায় আমারও আছে।
নিশাঙ্কা পুরো ইনিংস খেলতে চেয়েছে। ওর পারফরম্যান্সে আমি খুশি। আরব আমিরাতের বিপক্ষে ১৫তম ওভারে দুই উইকেটে শ্রীলঙ্কার স্কোর ছিল ১১৭। ১৮০-১৯০ রানের ভালো ভিত পেয়েছিল তারা।
কিন্তু ১৫তম ওভারে কার্তিক মেইয়াপ্পনের হ্যাটট্রিকে থেমে যায় রানের গতি। ওভারের শেষ তিন বলে ভানুকা রাজাপক্ষে, চারিথ আসালাঙ্কা ও দাসুন শানাকাকে ফেরান এই লেগ স্পিনার।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এটা পঞ্চম আর এই ফরম্যাটে আরব আমিরাতের প্রথম কোনো বোলারের হ্যাটট্রিক। ধাক্কা সামলে শ্রীলঙ্কা থামে ৮ উইকেটে ১৫২ রানে। ম্যাচসেরা পাথুম নিশাঙ্কা শেষ ওভারে আউট হওয়ার আগে করেন ৬০ বলে ৭৪ রান।
জবাবে পাওয়ার প্লেতে চার উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে আরব আমিরাত। এই ধাক্কাটা কাটিয়ে উঠতে না পেরে ৭৩ রানে অল আউট হয়ে যায় তারা। ১৬ বছরের আয়ান আফজাল খান করেন ২১ বলে সর্বোচ্চ ১৯।
দুশমন্ত চামিরার শিকার তিন উইকেট। দিনের অপর ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ৬ উইকেটে ১২১ রান করেছিল নামিবিয়া। পুরোপুরি ব্যর্থ তাদের টপ অর্ডার। শ্রীলঙ্কাকে হারানোর নায়ক ইয়ান ফ্রাইলিংকের অবদানই সবচেয়ে বেশি, ৪৮ বলে ৪৩ রান।
জবাবে এক উইকেটে ৯২ রান তুলে ডাচরা সহজ জয়ের পথে ছিল। শেষ ৩৭ বলে তাদের দরকার ৩০ রান। সেখান থেকেই দ্রুত চার উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় ডাচরা। শেষ দুই ওভারে প্রয়োজন ছিল ১৪ আর শেষ ওভারে ছয় রান।
প্রথম ম্যাচের নায়ক বাস ডি লিড শেষ ওভারের প্রথম বলে বাউন্ডারি আর তৃতীয় বলে দুই রান নিয়ে মিলিয়ে ফেলেন অঙ্কটা। ৩০ রানে অপরাজিত থাকার পাশাপাশি বল হাতে দুই উইকেট নিয়ে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে সেরার পুরস্কার জিতেছে ডি লিড।
তবে লক্ষ্য এখনো পূরণ না হওয়ায় উচ্ছ্বাসে ভাসছেন না নেদারল্যান্ডস অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস, ‘এখনো সব কিছু আমাদের হাতে আছে। শুধু জিততে হবে তৃতীয় ম্যাচটা।