Breaking News

টি-টোয়েন্টি সিরিজ হেরে মোসাদ্দেকের হুংকার ওয়ানডেতে দেখে নেবো

গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভ পর্ব থেকে এ পর্যন্ত ১২ ম্যাচ খেলে মাত্র ১টি জয়, জিম্বাবুয়ে সিরিজ শুরুর আগ পর্যন্ত এই ছিল বাংলাদেশ দলের টি-টোয়েন্টির ফর্ম। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে কুড়ি ওভারের ফরম্যাটের শুরুটাও হয়েছিল হার দিয়ে।

দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে ঘুরে দাড়ানোর বার্তাও দিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে তৃতীয় ম্যাচেই সেই সুরটা কেটে গেছে সফরকারীদের। অঘোষিত ফাইনালে ১৫৭ রান তাড়া করতে নেমে হেরেছে ১০ রানে।

এতে প্রথমবারের মতো জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারও সঙ্গী হয়েছে দলের। টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারের পর টাইগারদের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত যেন রীতিমত হুংকার দিয়ে রাখলেন।

তিন ফরম্যাটের ‘প্রিয়’ ওয়ানডে সিরিজেই স্বরূপে দেখা যাবে জিম্বাবুয়ে দলকে। পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে মোসাদ্দেক বলছিলেন, ‘সবাই জানে আমরা ওয়ানডেতে কত ভালো দল। আশা করছি আমরা ওখানে ভালোভাবে ঘুরে দাঁড়াব।’

শেষ টি-টোয়েন্টি বাংলাদেশ দল হেরেছে ছন্নছাড়া পারফরম্যান্সের কারণে। আগে বল হাতে নিয়ে জিম্বাবুয়েকে ১৪ ওভার পর্যন্ত বেঁধে রেখেছিল বাংলাদেশ দল। তবে ১৫তম ওভারেই যেন সব সম্ভাবনা জলে ভাসালেন বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ।

তার এক ওভারে ৫টি ছয় আর ১ চারে রেকর্ড ৩৪ রান তুলে নেন রায়ান বার্ল। এর আগে এক ওভারে এতো রান খরচের রেকর্ড নেই কোনো বাংলাদেশি বোলারারের।

ম্যাচ শেষে নাসুমের সেই ওভারকেই কাঠগড়ায় তুললেন মোসাদ্দেক, ‘প্রথম ১৪ ওভারে আমরাই দাপট দেখাচ্ছিলাম কিন্তু ওই ওভারই (নাসুমের ১৫তম ওভার) খেলাটা বদলে দিল।

নাসুমের সেই ওভারের পরও অবশ্য বাংলাদেশের লক্ষ্যটা ছিল নাগালের মধ্যেই। তবে পাওয়ারপ্লেতেই তিন উইকেট খুইয়ে কাজটা কঠিন করে বসেছিল বাংলাদেশি ব্যাটিং লাইনআপ।

ফলে এই হারের দায় কিছুটা ব্যাটসম্যানদেরও আছে বলে মনে করছেন মোসাদ্দেক, ‘টি-টোয়েন্টিতে আপনি যদি শুরুতে উইকেট হারান তাহলে রান তাড়া করাটা কঠিন কাজ। আফিফ বেশ চেষ্টা করেছে।

নাসুমের সেই ওভার হোক, কিংবা ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতা, সবকিছুর মিশেলেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি সিরিজে জিম্বাবুয়ের কাছে হারল বাংলাদেশ। ফলে হারের বিষাদকে সঙ্গী করেই সফরকারীদের নামতে হবে ওয়ানডে সিরিজে। আগামী ৫ আগস্ট সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে মাঠে নামবে দুই দল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *