বাংলাদেশের সাথে প্রথমবারের মত টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে ইতিহাস রচনা করলো জিম্বাবুয়ে। ঘরে-বাইরে এবার নিয়ে টি-টোয়েন্টি সপ্তম সিরিজে মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ। আগের ৬ বার একচ্ছত্র শাসন ছিল টাইগারদেরই। কিন্তু সপ্তমবার এসে আর সিরিজটা নিজেদের কাছে রেখে দিতে পারলো না বাংলাদেশ।
সিরিজের শেষ ম্যাচেও হারতে হলো ১০ রানের ব্যবধানে। সেই সঙ্গে টি-টোয়েন্টিতে প্রথমবারের মতো জিম্বাবুয়ের কাছে সিরিজে হারলো বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। এই সিরিজ জয়ে জিম্বাবুয়ের অর্জন হলো আরও একটি।
যে কোনো টেস্ট খেলুড়ে দেশের বিপক্ষে এই প্রথম কোনো সিরিজ জয়ের কৃতিত্ব অর্জন করলো তারা। ১৫৭ রানের লক্ষ্য। খুব বড় কিছু ছিল না। কিন্তু এই লক্ষ্যও তাড়া করতে পারেনি বাংলাদেশের ব্যাটাররা।
থেমে যেতে হলো ৮ উইকেটে ১৪৬ রানে। প্রথম ম্যাচে ১৭ রানে পরাজয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচে ৭ উইকেটে জিতে সিরিজ জয়ের সম্ভাবনা ধরে রেখেছিল টাইগাররা। কিন্তু শেষ ম্যাচের আগে অধিনায়ক পরিবর্তন করতে হলো।
ইনজুরির কারণে নুরুল হাসান সোহান ছিটকে যান। পরিবর্তে মোসাদ্দেক হোসেনকে দায়িত্ব দেওয়া হয় অধিনাকত্বের। প্রথমবার জাতীয় দলের নেতৃত্ব দিতে এসে পরাজয়ের স্বাদই নিতে হলো মোসাদ্দেক হোসেনকে।
১৫৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামার পর একটা বড় জুটি অন্তত প্রয়োজন ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু কোনো একটি বড় জুটি গড়ে ওঠেনি। প্রতিষ্ঠিত ব্যাটারদের কেউই দাঁড়াতে পারলেন না জিম্বাবুয়ে বোলারদের সামনে।
বরং নিয়মিত বিরতিতে একের পর এক উইকেট হারিয়েছে তারা। বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং লাইনটা বেশ বড়। লিটন দাস, পারভেজ হোসেন ইমন, এনামুল হক বিজয় এবং নাজমুল হোসেন শান্ত, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, আফিফ হোসেন ধ্রুব, মোসাদ্দেক হোসেন, মাহদি হাসান- কত বড় বড় ব্যাটার।
কিন্তু আফিফ ছাড়া এদের কেউই জিম্বাবুয়ে বোলারদের চ্যালেঞ্জ জানাতে পারলো না। ১৩ রানে লিটন দাসের বিদায়ে শুরু, এরপর ২৪, ৩৪, ৬০, ৯৯, ৯৯, ১৩৩ এবং ১৩৯ রানের মাথায় পড়েছে ৮টি উইকেট।
এমন নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালে জয়ের আশা করাটাই বোকামি।হাসানের অফ স্টাম্পের বাইরের বল খেলতে গিয়ে লিটন দাসের হাতে ক্যাচ দেন বাঁহাতি এই ব্যাটার।
দারুণ ব্যাটিং করা বার্ল এদিন আউট হয়েছেন ২৮ বলে ৫৪ রানের ইনিংস খেলে। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ১৫৬ রান সংগ্রহ করে জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশের হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন মেহেদি ও হাসান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
জিম্বাবুয়ে- ১৫৬/৮ (২০ ওভার) (চাকাভা ১৭, আরভিন ২৪, বার্ল ৫৪, জংওয়ে ৩৫; হাসান ২/২৮, মেহেদি ২/২৮)
বাংলাদেশ- ১৪৬/৮ (২০ ওভার) (লিটন ১৩, ইমন ২, বিজয় ১৪, শান্ত ১৬, মাহমুদউল্লাহ ২৭, আফিফ ৩৯*; নুয়াচি ৩/২৯)
ম্যাচ সেরা খেলুয়ার নির্বাচিত হয়েছেন বার্ল ।