Breaking News

চ্যালেঞ্জ নিয়েই ব্যাটিং করছে বাংলাদেশ, লাঞ্চে যাওয়ার আগে দুই ওপেনারের ‘ফিফটি’

দুর্দান্ত ব্যাটিং করছেন নাজমুল হোসেন শান্ত আর অভিজ্ঞ জাকির হাসান। একটি উইকেট তুলে নিতে রীতিমত ঘাম ঝরছে ভারতীয় বোলারদের। এরই মধ্যে উদ্বোধনী জুটিতে ৪২ ওভার ব্যাটিং করে ১১৯ রান তুলে ফেলেছেন তারা।

বাংলাদেশ গেছে চতুর্থ দিনের লাঞ্চ বিরতিতে। ফিফটি করেছেন শান্ত-জাকির দুজনই। ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্টে হাফসেঞ্চুরি করা জাকির অপরাজিত আছেন ৫৫ রানে। শান্ত ব্যাটিং করছেন ৬৪ রান নিয়ে।

শান্ত সবশেষ ফিফটির দেখা পেয়েছিলেন চলতি বছরের জানুয়ারিতে, মাউন্ট মুঙ্গানুই টেস্টে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। দীর্ঘ ১৫ ইনিংস পর আরেকটি হাফসেঞ্চুরি হাঁকালেন, যেটি তার টেস্ট ক্যারিয়ারের তৃতীয়।

আগের দিনের শেষ বিকেলে বিনা উইকেটে বাংলাদেশকে ৪২ রান এনে দিয়েছিলেন শান্ত-জাকির। ভারতের বিপক্ষে টেস্টে দেশের হয়ে উদ্বোধনী জুটিতে রেকর্ড গড়েছেন তারা।

চট্টগ্রাম টেস্টে আজ (শনিবার) চতুর্থ দিন উদ্বোধনী জুটিটি ৫৮ রানে পৌঁছানোর পরই এ রেকর্ড হয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত তারা ৩১ ওভার খেলে অবিচ্ছিন্ন আছেন ৮৯ রানে। শান্ত ৫১ আর জাকির ৩৮ রান নিয়ে ব্যাট করছেন।

সামনে বিশ্বরেকর্ড লক্ষ্য। চট্টগ্রাম টেস্টে দ্বিতীয় ইনিংসে ২ উইকেটে ২৫৮ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করেছে ভারত। ফলে বাংলাদেশের সামনে জয়ের লক্ষ্য দাঁড়িয়েছে ৫১৩ রানের।

টেস্ট ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ডটি ৪১৮ রানের। অর্থাৎ এই টেস্টে জিততে হলে বাংলাদেশকে বিশ্বরেকর্ড গড়তে হবে। তৃতীয় দিনের শেষ বিকেলে উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশকে আরও বড় বিপদে ফেলতে চেয়েছিল ভারত।

তবে দুই ওপেনার নাজমুল হাসান শান্ত আর জাকির হাসান সেই সুযোগ দেননি। তৃতীয় দিন বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠানোর পর ভারত ১২ ওভারে ব্যবহার করেছে পাঁচ বোলার। কিন্তু উইকেট ফেলতে পারেনি।

বিনা উইকেটে ৪২ রান নিয়ে দিন শেষ করে টাইগাররা। শান্ত ২৭ আর জাকির ১৫ রানে অপরাজিত ছিলেন। প্রথম ইনিংসে ৮ উইকেটে ১৩৩ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করেছিল বাংলাদেশ।

সেখান থেকে আর বেশিদূর এগোতে পারেনি টাইগাররা। ৫৫.৫ ওভার খেলে অলআউট হয় ১৫০ রানে। শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হন মেহেদি হাসান মিরাজ (২৫)।

ভারতের কুলদ্বীপ যাদব ৪০ রান দিয়ে শিকার করেন ৫ উইকেট। ৩ উইকেট মোহাম্মদ সিরাজের। প্রথম ইনিংসে ৪০৪ করা ভারত বাংলাদেশকে ফলোঅন না করিয়ে দ্বিতীয়বার ব্যাটিংয়ে নামে।

এবার টাইগার বোলারদের পাত্তাই দেয়নি অতিথিরা। অধিনায়ক লোকেশ রাহুলকে ব্যক্তিগত ২৩ রানে ফেরান খালেদ আহমেদ।এরপর চেতেশ্বর পূজারা আর শুভমান গিল ১১৩ রানের বড় জুটি গড়েন।

গিল করেন ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। ১৫২ বলে ১০ চার ৩ ছক্কায় ১১০ রানের ইনিংস খেলা এই ওপেনারকে ফেরান মেহেদি হাসান মিরাজ। সেঞ্চুরি করেন পূজারাও। ১৩০ বলে ১৩ বাউন্ডারিতে ১০২ রানে অপরাজিত থাকেন এই ব্যাটার। বিরাট কোহলি ছিলেন ১৯ রানে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *