Breaking News

সাকিব-তামিমের দ্বন্দ্ব নিয়ে এবার মুখ খুললেন বিসিবির প্রধান ‘পাপন’

পারফরম্যান্স ও জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে দেশের ক্রিকেটে দুই প্রভাবশালী তারকা সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল। তাদের ওপর নির্ভর করে দলের ড্রেসিংরুমের পরিবেশও। আসন্ন ইংল্যান্ড সিরিজের আগে জাতীয় দলের কোচ থেকে শুরু করে সকলেই জয়ের স্বপ্নের কথা বলছেন।

কিন্তু মাঠের বাইরে দলের অভ্যন্তরীণ পরিবেশ ভাল না হলে সেটি নিশ্চয়ই ম্যাচেও প্রভাব ফেলার শঙ্কা রয়েছে। সে কারণেই আবারও আলোচনায় সাকিব-তামিম সম্পর্ক। যা নিয়ে মুখ খুলেছেন বোর্ড সভাপতি নাজুমল হাসান পাপনও।

সাম্প্রতিক সময়ে আরো জোরালো হয়েছে সাকিব আল হাসান এবং তামিম ইকবালের দ্বন্দ্ব। দুয়েক সপ্তাহ আগে এক অনুষ্ঠানে সাকিব-তামিম উভয়েই হাজির হয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে একজন আরেকজনের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায়নি।

যা টাইগার ভক্তদেরও নজর এড়ায়নি। এরপরই এ ইস্যু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চর্চিত বিষয়ে পরিণত হয়। তবে দুজনের এমন সম্পর্কের কথা পাপনেরও অজানা নয়। সমাধানের চেষ্টাও করেছিলেন তিনি।

ক্রীড়াভিত্তিক গণমাধ্যম ক্রিকবাজের সঙ্গে আলাপকালে বিসিবি বস বলেন, ‘এটি কোনো স্বাস্থ্যকর ড্রেসিংরুম নয়, এটি আমি আপনাকে আশ্বস্ত করতে পারি। এই ব্যাপারটা (সাকিব ও তামিমের মধ্যে সম্পর্কে ফাটল),

এটা এমন নয় যে আমি এটা সমাধানের চেষ্টা করিনি। আমি তাদের দুজনের সঙ্গেই কথা বলেছি এবং বুঝতে পেরেছি যে এই মুহূর্তে তাদের মধ্যকার সমস্যাগুলো নিষ্পত্তি করা সহজ নয়।

এই আমার পর্যবেক্ষণ তাদের উভয়কে একটি বার্তা দেওয়া হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে- আমরা জানি না আপনাদের মধ্যে কি চলছে, তবে আপনারা যে ম্যাচে বা সিরিজ খেলছেন, সেখানে এই সমস্যাগুলো যেন সামনে আসে।

পরবর্তীতে তারা দুজনেই সেটি মেনে চলার আশ্বাস দিয়েছেন। মাঠে ও বাইরে এক সময় দুজনের সম্পর্ক ছিল তরুণ ক্রিকেটারদের জন্য অনুকরণীয় পাপন আরও বলেন, ‘তাদের (সাকিব ও তামিম) মাঠে এবং ড্রেসিংরুমেও কথা বলতে হয়।

ড্রেসিংরুমের পরিবেশও খারাপ ছিল, তবে কিছুটা উন্নতি হয়েছে। এই সিরিজ থেকে (ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আসন্ন হোম সিরিজ) আমি অন্তত ড্রেসিংরুমে এটি (তাদের সম্পর্ক) পরিবর্তন করতে চাই।

তারা বাইরে যা করে তা আমার জন্য চিন্তার বিষয় নয়। এছাড়া গ্রুপিং সমস্যার সমাধান নিয়ে বোর্ড সভাপতি বলেন, ‘এই গ্রুপিং বাংলাদেশ ক্রিকেটে বর্তমানে সবচেয়ে বড় সমস্যা এবং এটাই বাস্তবতা। আমার আর অন্য কিছুতে সমস্যা নেই।

আমি শুধুমাত্র এই গ্রুপিং সম্পর্কে ভীত এবং কিছুদিন আগে এর সম্পর্কে জানতে পেরেছি। বিশ্বকাপেও ওদের হোটেলে না থাকার পরও যা দেখেছি শুনেছি বিশ্বাস করতে পারছি না এটা কিভাবে সম্ভব!

সুন্দর ভবিষ্যৎ দেখতে হলে আমাদের এর অবসান ঘটাতে হবে। কারণ একটা জিনিস সবারই বোঝা দরকার- এখানে গ্রুপিং করার সুযোগ নেই।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *