দুবাইয়ে এশিয়া কাপের রবিবাসরীয় ফাইনালে ১৭১ রানের লক্ষ্য দিয়ে প্রথম ওভারেই টালমাটাল ছিল শ্রীলংকা। কোনো বল না করেই ৯ রান দিয়ে ফেলেন বোলার দিলশান মাদুশাঙ্কা।
কিন্তু সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে পারেননি দুই ওপেনার রিজওয়ান ও বাবরের কেউ। সেই ওভারে মোট রান আসে মাত্র ১২। এর পর মিডল অর্ডারের সব ব্যাটারে চরম ব্যর্থতায় ১৪৭ রানেই থামে পাকিস্তানের ইনিংস।
এরই সঙ্গে টুর্নামেন্টের অন্যতম ফেভারিট পাকিস্তানকে ২৩ রানে হারিয়ে ষষ্ঠবারের মতো এশিয়া কাপ জয় করল শ্রীলংকা। গতকাল মিডল অর্ডারে ফখর জামান ও আসিফ আলী রানের খাতাই খুলতে পারেননি।
মোহাম্মদ নওয়াজ ও খুশদিল শাহের ব্যাট থেকে আসে মাত্র যথাক্রমে ৬ ও ২ রান। মিডল অর্ডারের এমন ব্যর্থতায় অনেকের মুখে শোনা গেছে অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার শোয়েব মালিকের নাম।
যিনি দীর্ঘ সময় ধরে পাকিস্তানের মিডল অর্ডারের স্তম্ভ ছিলেন। আর পাকিস্তানের দীর্ঘদিনের ভরসা হয়ে থাকা শোয়েব মালিককেই রাখা হয়নি এবারের এশিয়া কাপে।
এশিয়া কাপে দলে জায়গা না পেয়ে হৃদয়ে ক্ষোভের আগুন দমিয়ে রেখেছিলেন শোয়েব মালিক। শ্রীলংকার বিপক্ষে পরাজয়ের পর সেই ক্ষোভের আগুন বেরিয়ে আসে তার।
পাকিস্তান দলের নির্বাচকদের নিয়ে বিতর্কিত টুইট করেন তিনি। টুইটে ১২৪ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলা অলরাউন্ডার লিখেছেন ‘আমরা কবে বন্ধুত্ব, পছন্দ-অপছন্দের সংস্কৃতি থেকে বের হতে পারব?
সৃষ্টিকর্তা সবসময় সৎকে সাহায্য করেন। এমন টুইটে পাকিস্তান টিম ম্যানেজমেন্টকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দিলেন শোয়েব। এশিয়া কাপের স্কোয়াড গঠনে টিম ম্যানেজমেন্ট স্বজনপ্রীতি দুষ্টতা স্পষ্টতই বললেন এ অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ‘এআরওয়াই নিউজ’-এর সংবাদকর্মী ইঙ্গিতটাকে আরও স্পষ্ট করে দেন। শোয়েবের উদ্দেশ্যে তিনি মন্তব্য করেন ‘স্যার, এ নতুন কিছু নয়।
অতীত ও বর্তমানের মতো ভবিষ্যতেও তা-ই হবে। পিসিবির নির্বাচকদের দোষী করে শোয়েব মালিকের টুইটটি তোলপাড় ফেলে দিয়েছে স্বাভাবিকভাবেই।
পাকিস্তানের পরাজয়ের কিছু সময় পর করা শোয়েবের টুইট প্রায় ৭৯ হাজার ব্যবহারকারী পছন্দ করেছেন। এরই মধ্যে সাড়ে ৭ হাজার ছাড়িয়ে গেছে টুইটটি। রি-টুইট হয়েছে ১৫ হাজারের মতো।