Breaking News

পাওয়ার হিটিং অনুশীলনে সৌম্য সরকার, কি ভাবছেন নির্বাচকেরা?

এশিয়া কাপের আগে ওপেনার সংকটের কারণে আলোচনায় এসেছিলেন সৌম্য সরকার। কিন্তু দলে সুযোগ হয়নি। এবার সামনে বিশ্বকাপ। আবারও সেই ওপেনার সংকট। তাই গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর জাতীয় দল বাদ পড়া সৌম্য আরেকটি বিশ্বকাপের আগে দলে আলোচনায় এসেছেন।

জাতীয় দলে ফেরার আশায় নিজেকে হারিয়ে ফেলা এই স্টাইলিস্ট ব্যাটার এখন মিরপুরে নিয়মিত হার্ডহিটিং অনুশীলন করে যাচ্ছেন। তামিম ইকবাল টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিয়েছেন। এশিয়া কাপের আগে লিটন দাস চোটে পড়েন।

তাদের জায়গায় এনামুল হক বিজয় এবং নাঈম শেখ চরম ব্যর্থ হয়ে বাদ পড়েন। দ্বিতীয় ম্যাচে মেহেদী মিরাজ আর সাব্বির রহমানকে দিয়ে ওপেনিং করানো হয়। তারা মন্দের ভালো পারফর্ম করেন।

আসন্ন বিশ্বকাপে লিটন দাস অটোচয়েস হিসেবেই থাকছেন। তার সঙ্গী নির্বাচন নিয়েই এখন কাজ করছেন বিসিবির নির্বাচকরা। তাই আলোচনায় এসেছেন সৌম্য। অনেক ক্রিকেট বিশ্লেষকের মতে, সৌম্য-লিটনের ওপেনিং জুটিই টি-টোয়েন্টিতে সেরা।

আজ শনিবার ওপেনিং জুটি নিয়ে নির্বাচক হাবিবুল বাশার বলেন, ‘এখনো আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি। এশিয়া কাপে শেষ ম্যাচে আমরা একটা ভিন্ন কম্বিনেশনে গিয়েছিলাম,

যেহেতু বিশ্বকাপ অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে খেলা সেখানে আমরা কাউকে মেকশিফট ওপেনার করব কি না, নাকি নিয়মিত ওপেনার এটা নিয়ে এখনো আলোচনার অনেক বাকি আছে।

হাতে কিছু সময় আছে, এই ক’দিনে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলতে পারব যে মেকশিফট ওপেনার নিয়ে চেষ্টা করব নাকি জেনুইন ওপেনার। সৌম্য সরকারের প্রসঙ্গেও খোলাসা করে কিছু বলেননি হাবিবুল, ‘আমরা অনেককে নিয়ে ভাবছি, শুধু একজন নিয়ে ভাবছি না।

শর্টলিস্টে বেশ কিছু ওপেনার আছেন, তারা আগে ওপেন করেছেন, এখনো করছেন। যেহেতু আমাদের খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা টুর্নামেন্ট, আমরা সিদ্ধান্তটা একটু ভেবেচিন্তেই নিতে চাই। কারণ ওই একটা পজিশনে আমরা কাউকে সেটেলড করতে পারছি না টি-টোয়েন্টি সংস্করণে।

আমরা বেশি পরিবর্তন করতে চাইও না। কারণ বিশ্বকাপে সাফল্য অনেকখানি ওপেনারদের সাফল্যের ওপর নির্ভর করছে। তাই সিদ্ধান্তটা বেশ ভেবেচিন্তে নিতে চাই। কারণ এই জায়গায় মনে হয় আমাদের কাজ করার আছে।

হাবিবুল আরো জানান, বিশ্বকাপ সামনে রেখে ক্রিকেটারদের ওপর প্রত্যাশার চাপ সৃষ্টি করতে চান না। তার ভাষায়, ‘বিশ্বকাপে আমরা খোলা মন নিয়ে যেতে চাই।

এমন না যে অনেক প্রত্যাশা নিয়ে যাচ্ছি, অনেক কিছু করতে হবে এ রকমভাবে আমরা যেতে চাই না, এটা আমার ব্যক্তিগত অভিমত। বিশ্বকাপে আমরা খেলা মন নিয়ে যেতে চাই। কারণ বিশ্বকাপ খুবই কঠিন প্রতিযোগিতা।

সবাই সেরাটা দেওয়ার জন্য আসে সেখানে ভালো করতে হলে সেরা ক্রিকেট খেলা খুব গুরুত্বপূর্ণ। খোলা মন নিয়ে গিয়ে যদি সেরাটা খেলতে পারি তাহলে আমার মনে হয় ভালো কিছু হবে। আমি কোনো প্রত্যাশার চাপ দিতে চাই না এই বিশ্বকাপে। ’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *