অস্ট্রেলিয়ার এমন কন্ডিশনে শ্রীরামের অভিজ্ঞতাই বাংলাদেশের এক মাত্র পুঁজি হিসাবে পাচ্ছেন সাকিবের টি-টোয়েন্টি দল। বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলের নতুন টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার শ্রীধরন শ্রীরাম ক্রিকেটের সবচেয়ে ছোট ফরম্যাটে অস্ট্রেলিয়া জাতীয় দলের সঙ্গেও কাজ করেছেন।
অসিদের সহকারি প্রশিক্ষকের দায়িত্বও পালন করেছেন। তার মানে অস্ট্রেলিয়ার পরিবেশ, উইকেট মাঠ সম্পর্কে তার রয়েছে পরিষ্কার ধারনা।
অসি কন্ডিশনে কোন ব্যাটিং টেকনিক কাজে দেবে বেশি, বোলাররা কোন লাইন ও লেন্থে বল করলে সফল হতে পারবেন- এসবও তার খুব ভাল জানা। তিনি কি নিউজিল্যান্ড যাওয়ার আগে ২ সপ্তাহর ট্রেনিং ক্যাম্পে সেগুলোই শেখাবেন ক্রিকেটারদের?
শোনা যাচ্ছে, নতুন টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার শ্রীরাম তিনদিন জাতীয় দলের আশপাশের ক্রিকেটারদের নেটে পরখ করে দেখবেন। আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া জাতীয়
দলের নিউজিল্যান্ড সফরের প্রস্তুতি পর্বে এ ভারতীয় এই কোচ আসলে কী করবেন? তা নিয়েও আছে সংশয়। কারণ এ সম্পর্কে একেকজন একেক রকম কথা বলছেন।
যা শুনে মনে হয়েছে শ্রীরাম এবার প্রস্তুতি পর্বের প্রথম তিনদিন শুধু জাতীয় দলের আশপাশে থাকা ক্রিকেটারদের ব্যাটিং বোলিংই দেখবেন শুধু। কার কি অবস্থা সে সম্পর্কে নিজের ধারনা পরিষ্কার করবেন ।
তবে জাতীয় দলের নির্বাচক হাবিবুল বাশার জানালেন, শ্রীরাম মূলতঃ অস্ট্রেলিয়ান কন্ডিশন সম্পর্কে ক্রিকেটারদের ধারনা দেবেন এবং ওই কন্ডিশনে সম্ভাব্য করনীয় কাজগুলোও ঠিক করে দেবেন।
বাশারের অনুভব, শ্রীরাম অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে টিম বাংলাদেশের জন্য একটা বড় সহায়ক শক্তি হিসেবে পরিগণিত হতে পারেন। তার কথা, আমাদের খেলোয়াড়রা কতটুকু মানিয়ে নিতে পারছে, সেটা খুবই গুরুত্বপূর্ন।
তবে অবশ্যই শ্রীরাম অনেক বড় হেল্প। সে অস্ট্রেলিয়া দলের সঙ্গে কাজ করেছে, কন্ডিশন সম্পর্কে ভালো জানে, আমরা অস্ট্রেলিয়ায় কোন ধরনের পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে পারি,
সে সম্পর্কে তার খুব ভালো ধারনা আছে। বাশার যোগ করেন এই যে তিনদিনের ক্যাম্প হচ্ছে, সেটা কিন্তু এগুলো নিয়েই। আমাদের খেলোয়াড়দের ধারণা দেওয়া, গেমপ্ল্যান দেওয়া। যেন যাওয়ার আগেই আমরা পরিকল্পনা নিয়ে নিতে পারি।
মানসিকভাবে কিভাবে এগিয়ে থাকতে পারি সেটাই। এই ক্যাম্পটা আসলে কিন্তু সেটাই।’