মাত্র ১৯৬ রানের লক্ষ্য। ৫০ ওভারের ম্যাচে খুবই মামুলি একটি লক্ষ্য। কিন্তু ১৯৬ রান তো দুরে থাক, ১০০ রানও করতে পারলো না নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দল। অলআউট হয়ে গেলো মাত্র ৮২ রানে। দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে দুই দলের বোলাররাই নিজেদের কারিশমা দেখালেন।
একে অপরকে ছাপিয়ে গিয়ে লড়াইয়ের ময়দানে কচুকাটা করলেন ব্যাটারদের। তবে নিউজিল্যান্ডের ট্রেন্ট বোল্ট বা ম্যাট হেনরিকে ছাপিয়ে গেলেন অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডাম জাম্পা, মিচেল স্টার্ক, শেন অ্যাবটরা।
যার ফলে মাত্র ৮২ রানে নিউজিল্যান্ডকে অলআউট করে ১১৩ রানে অস্ট্রেলিয়াকে জয় এনে দিলেন জাম্পা অ্যান্ড কোং। প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে দারুণ হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছিল। যদিও শেষমেশ ২ উইকেটে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া।
ক্যামেরন গ্রিন এবং অ্যালেক্স ক্যারে মিলে সেই জয় নিশ্চিত করেন। আর বৃহস্পতিবার সব কৃতিত্ব বোলারদের। তাদের দাপটেই কচুকাটা হলেন কিউই ব্যাটাররা। কেয়ার্নসে টসে জিতে অস্ট্রেলিয়াকে ব্যাট করতে পাঠায় নিউজিল্যান্ড।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমেই কিউয়ি বোলারদের দাপটে কোনঠাসা হয়ে পড়েন ডেভিড ওয়ার্নার, অ্যারোন ফিঞ্চরা। ২৬ রানের মধ্যে অসিরা ৪ উইকেট হারিয়ে বসে। আর ৫৪ রানের মধ্যে হারায় ৫ উইকেট। সর্বোচ্চ রান করেন স্টিভেন স্মিথ।
তিনি ৯৪ বলে ৬১ করেন। আর নয় নম্বরে ব্যাট করতে নেমে মিচেল স্টার্ক ৪৫ বলে অপরাজিত ৩৮ রানের দায়িত্বশীল একটি ইনিংস খেলেন। জস হ্যাজেলউড ১১ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ১৬ বলে অপরাজিত ২৩ রান করেন।
দুই টেল এন্ডারের ওপর ভর করে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর কোনও মতে টেনেটুনে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৯৫ রানে পৌঁছায়। এছাড়া ৫০ বলে ২৫ করেছিলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। বাকিরা কেউ ২০ রানের গণ্ডিও টপকাননি।
নিউজিল্যান্ডের ট্রেন্ট বোল্ট ৪ উইকেট নিয়েছেন। ৩ উইকেট নিয়েছেন ম্যাট হেনরি। ১টি করে উইকেট নিয়েছেন টিম সাউদি এবং মিচেল স্যান্টনার। রান তাড়া করতে নেমে কিউই ব্যাটাররা কেউই ক্রিজে টিকতে পারেননি।
কোনও ব্যাটারই ২০ রানের গণ্ডিই টপকাতে পারেননি। জাম্পাদের দাপটে ৩৩ ওভারে মাত্র ৮২ রানে অলআউট হয়ে যায় নিউজিল্যান্ড। কিউই ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ১৭ রান করেছেন অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন।
এছাড়া মিচেল স্যান্টনার ১৬ করে অপরাজিত থাকেন। বাকিদের অবস্থা তথৈবচ। ৫ উইকেট তুলে নেন অস্ট্রেলিয়ান স্পিনার জাম্পা একাই। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন স্টার্ক এবং অ্যাবট।
১ উইকেট নিয়েছেন মার্কাস স্টোইনিস। ১১৩ রানে দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে সিরিজ পকেটে পুরে নিল অস্ট্রেলিয়া। এবার তৃতীয় তথা শেষ ওডিআই জিতে কিউয়িদের হোয়াইটওয়াশ করার সুযোগ রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার সামনে।