চন্দিকা হাথুরুসিংহে জাতীয় দলের কোচ হয়েই কিউরেটর গামিনি ডি সিলভার কাছে একটি কংক্রিটের ও একটি স্ল্যাব উইকেট চেয়েছিলেন। কোচের চাহিদামতো আউটারের পূর্ব ও পশ্চিমে দুটো উইকেট বানানো হয় ২০১৪ সালেই।
চন্দিকা চলে যাওয়ার পর দুটো উইকেটই বলতে গেলে পরিত্যক্ত। স্টিভ রোডস বা রাসেল ডমিঙ্গোর কেউই কংক্রিট বা স্ল্যাব উইকেটে ব্যাটারদের প্র্যাকটিস করাননি। বর্তমান ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্সের কারণে উইকেট দুটির কদর বেড়ে গেছে।
বিসিবি একাডেমি মাঠেও নতুন করে বানানো হচ্ছে দুটি কংক্রিটের উইকেট। বাউন্সার বলে ব্যাটারদের অভ্যস্ত করতেই জেমি উইকেটগুলো কাজে লাগাতে চান। টি২০ বিশ্বকাপ মাথায় রেখে কয়েকজন ব্যাটারকে কাজ করবেন পরামর্শক কোচ শ্রীধরন শ্রীরাম।
বিসিবি ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস জানান, ১১ সেপ্টেম্বর ঢাকায় আসবেন কোচ। পরের দিন থেকে জাতীয় পুলের ও এইচপি ক্রিকেটারদের নিয়ে ক্যাম্প করবেন তিনি। জালাল ইউনুস বলেন, ‘জাতীয় দলের কয়েকজন ব্যাটার ও বোলারের সঙ্গে পুলের অন্য ক্রিকেটারদের ক্যাম্পে ডাকা হবে।
সামনের সিরিজগুলোতে খেলোয়াড় লাগবে। পাইপলাইনে কিছু খেলোয়াড় যুক্ত করতেই এ উদ্যোগ নেওয়া। এ ছাড়া বিশ্বকাপে যারা খেলবে, তারাও প্র্যাকটিস করবে কংক্রিটের উইকেটে।
অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডে যাতে বাউন্সার বলে খেলতে পারে- এ জন্যই এটা করা। শ্রীরাম দায়িত্ব নিয়েই এশিয়া কাপে গিয়েছিলেন। আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নেয় বাংলাদেশ।
টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যাওয়ায় কোচ নতুন করে পরিকল্পনা করার সুযোগ পেয়েছেন। দেশে একান্তে ব্যাটারদের নিয়ে কাজ করতে পারবেন। ব্যাটারদের ঘষামাজার কাজটা মিরপুরের স্লো উইকেটে করতে চান না তিনি।
জেমির পরামর্শে কংক্রিটের উইকেটে অনুশীলন করাবেন তিনি। কয়েক দিন আগে সমকালকে একান্ত সাক্ষাৎকারে লিটনও মিরপুরে কংক্রিটের উইকেটের কথাই বলেছিলেন। নিজে তো স্লো এবং লো উইকেটে প্র্যাকটিস করবেনই না
সতীর্থদেরও নিরুৎসাহিত করেন মিরপুরের পিচে ব্যাটিং অনুশীলন করতে। একাডেমি মাঠে দুটি উইকেট হয়ে গেলে লিটনের জন্য ভালোই হবে। পেস বোলার নিয়ে অনুশীলন করার সুযোগ পাবেন তিনি।
বিসিবি গ্রাউন্ডস কমিটির চেয়ারম্যান মাহবুবুল আনাম জানান, শ্রীরাম ক্যাম্পের প্রথম থেকেই নতুন উইকেট ব্যবহার করতে পারবেন। একাডেমি মাঠের পূর্ব দিকে দুটি উইকেট কংক্রিটে রূপান্তর করা হচ্ছে। বেজমেন্টের কাজ শেষ। বৃষ্টির কারণে গতকাল ঢালাই দেওয়া সম্ভব হয়নি।
মাহবুব আনাম বলেন, ‘একাডেমি মাঠে জেমি দুটি কংক্রিটের উইকেট চাওয়ায় তৈরি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সে যেহেতু একাডেমিতে যুক্ত হয়ে ব্যাটার তৈরি করবে, সে জন্যই হয়তো এটা চাওয়া। এ ধরনের উইকেটে বল সোজা যায় এবং বাউন্স থাকে। বল স্কিলডও করে।
সারাবছরই এই উইকেট কাজে লাগবে। বৃষ্টির মৌসুমে প্র্যাকটিস বন্ধ থাকবে না।’ সে যা-ই হোক, শ্রীরামের সব পরিকল্পনা এখন বিশ্বকাপ ঘিরে। সেটাই তিনি করতে যাচ্ছেন নতুন আঙ্গিকে। জাতীয় দলে হাথুরুসিংহের পরিকল্পনা নতুন করে যুক্ত হতে চলেছে জেমি-শ্রীরামের মাধ্যমে।