সাম্প্রতি এশিয়া কাপে দল থেকে বাদ পড়ে হতাশায় মুষড়ে পড়েননি হাসান, বরং ফর্ম ফিতে পেতে এবং নিজেকে আবারও প্রমাণ করতে চালিয়ে যাচ্ছেন কঠোর পরিশ্রম। মাত্র ক’দিন আগেও সব ফরম্যাটে পাকিস্তানের হয়ে নিয়মিত খেলেছেন হাসান আলী।
এমনকি একটা সময় তাকে পাকিস্তানের বোলিং লাইনআপের অন্যতম বড় হাতিয়ারও ভাবা হতো। অথচ সেই পেসারই এখন দলের বাইরে, জায়গা পাননি এশিয়া কাপের মতো বড় আসরের স্কোয়াডে।
হাসান আলীকে দলে না রাখা নিয়ে অনেক সমালোচনা হচ্ছে চারদিকে। এর মাঝেই মুখ খুললেন হাসান। ২৮ বছর বয়সী এই পেসার নিজেকে যোদ্ধা দাবি করে দৃপ্ত কণ্ঠে জানিয়েছেন, হাল ছাড়বেন না তিনি।
দল থেকে বাদ পড়ে হতাশায় মুষড়ে পড়েননি হাসান, বরং ফর্ম ফিতে পেতে এবং নিজেকে আবারও প্রমাণ করতে চালিয়ে যাচ্ছেন কঠোর পরিশ্রম। লাহোরের ন্যাশনাল হাই পারফরম্যান্স সেন্টারে নিভৃতেই ট্রেনিং করে যাচ্ছেন এই তারকা।
তিনি বলেন, ‘ফর্ম একসময় থাকবে, একসময় থাকবে না। আমি গত ২ বছর ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো করেই জাতীয় দলে ফিরেছিলাম। এখনও এটাই আমার লক্ষ্য। ভালো করতে না পারায় হাসানের চেয়ে বেশি হতাশ কেউ হবেন না এটাই স্বাভাবিক।
তবে বাদ পড়া নিয়ে আক্ষেপ নেই। তিনি জানান পারফরম্যান্স আপ টু দ্যা মার্ক না হওয়ায় আমি হতাশ। তবে এই উত্থান পতন জীবনেরই অংশ।
আমি এখন টেকনিক্যাল টেকটিক্যাল ফিজিক্যাল এবং মেন্টাল দিক নিয়ে কাজ করছি এবং ছন্দ ফিরে পেয়ে জাতীয় দলে ফিরতে মুখিয়ে আছি। হাসান এটা ভালো করেই জানেন, আবারও জাতীয় দলে জায়গা পাকা করতে হলে তাকে ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো করতে হবে।
নিজের মধ্যে সেই আত্মবিশ্বাসটুকু তিনি চান, যা নির্বাচকদের বাধ্য করবে তাকে দলে নিতে। চোট নিয়ে লড়তে হয় বলে ফাস্ট বোলারদের পথটা মসৃণ নয় কখনোই। তবে হাসান কোনোভাবেই হার মানতে চান না।
তিনি বলেন, ‘আমি একজন যোদ্ধা, আমি হাল ছাড়ব না। হাসানকে এশিয়া কাপের দলে না রাখায় অনেকেই অবশ্য অবাক হয়েছেন। মূল পেসার শাহীন শাহ আফ্রিদিও চোটের কারণে এশিয়া কাপে খেলতে পারবেন না।
বেশ কয়েকদিন আগে সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ হাফিজ দাবি করেছিলেন হাসানকে বিশ্রাম না দিয়ে টানা ক্রিকেট খেলানোর কারণেই তিনি ছন্দ হারিয়েছেন।
পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজমও অবশ্য জানিয়ে দিয়েছেন ফিরতে হলে ঘরোয়া ক্রিকেটে নিজেকে প্রমাণ করতে হবে হাসানকে। হাসান যে শীঘ্রই ছন্দে ফিরবেন, এ ব্যাপারে অবশ্য সন্দেহ নেই বাবরের।