উইন্ডিজ ‘এ’ দলের বিপক্ষে নজর কারা বোলিংয়ে ৪ উইকেট শিকার করেন বাংলাদেশর ‘রাজা’। উইন্ডিজের বিপক্ষে শেষ ওয়ানডে ম্যাচে টস হেরে বোলিং করতে নামে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। শুরুতে ভালো না করতে পারলেও অবশেষে ২ উইকেট তুলে নিয়ে খেলায় ফেরে মিথুনরা।
শেষ পর্যন্ত রাজার দুর্দান্ত বোলিংয়ে ৪ উইকেট এবং মৃত্যুঞ্জয়ের ২ উইকেটের সুবাদে ২৩৮ রানের মধ্যে আটকাতে সক্ষম হয় সফরকারীরা। সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে বাংলাদেশ এ দলের সামনে ২৩৯ রানের চ্যালেঞ্জ দিয়েছিলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ এ দল।
বিশপ টেডির ফিফটি ও তেগনারাইন চন্দরপলের ৪৩ রানে চড়ে স্কোর বোর্ডে ২৩৮ রান তোলে স্বাগতিকেরা। শনিবার (২১ আগস্ট) সেন্ট লুসিয়ার ড্যারেন স্যামি স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিং করে উইন্ডিজ। উদ্বোধনী জুটিতে ভালো শুরু পায়
তারা। চন্দরপলের সঙ্গে ৬৭ রানের জুটি গড়েন জাসুয়া ডি সিলভা। ২৩ রান করা সিলভাকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে প্রথম ব্রেক থ্রু এনে দেন রেজাউর রহমান রাজা। তিনে এসে দারুণ সঙ্গ
দেন বিশপ। যদিও ২৩ রানের জুটি ভাঙলে ৪৩ রানে ফেরেন ওপেনার চন্দরপল। রাকিবুল হাসানের স্পিনে কাবু হন তিনি। চতুর্থ উইকেটে জাস্টিন গ্রেভেসকে নিয়ে ৭৪ রানের জুটি
গড়েন বিশপ। ৩৬ রান করে রাজার দ্বিতীয় শিকার হন গ্রেভেস। শেষের দিকে রাজা- মৃত্যুঞ্জয়দের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি স্বাগতিক ব্যাটসম্যারা। বাংলাদেশের হয়ে একাই ৪ উইকেট নেন রাজা।
পরে রান তাড়া করতে নেমে মাত্র ৩ রানে আউট হয়ে যান আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান নাইম শেখ। সাইফ হাসানের ব্যাট থেকে আসে ২ রান। মাত্র ৭ রানে দুই উইকেট হারানোর পর মোহাম্মদ মিঠুন ও সৌম্য সরকার মিলে গড়ে ৫১ রানের তৃতীয় উইকেট জুটি।
মিঠুন ২০ রানে ফিরলে জুটি ভেঙে যায়। শাহাদাত হোসেন দীপুকে সঙ্গে নিয়ে পরের যাত্রায় মন দেন সৌম্য। কিন্তু বৃষ্টির বাগড়ায় ১৫.৪ ওভারে বন্ধ হয়ে যায় খেলা। তখন ৪২ বলে ৩০ রানে অপরাজিত ছিলেন প্রথম দুই ম্যাচে হতাশ করা সৌম্য। ম্যাচে আর মাত্র ৪.২ ওভার খেলা হলেই বৃষ্টি আইনে ফল বের হয়ে যেতো।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:-
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দল: ২৩৮/৯ (৫০ ওভার; ডি সিলভা ২৩, চন্দরপল ৪৩, বিশপ ৬০, গ্রিভস ৩৬; রাজা,৪/৫০, মৃত্যুঞ্জয় ২/৪৩)
বাংলাদেশ ‘এ’ দল: ৬১/৩ ( ১৪.৩ ওভার; সৌম্য ৩০*, মিথুন ২০ )
বৃষ্টিতে পরিত্যাক্ত ম্যাচ। ম্যাচের ফলাফল ড্র সিরিজ ১-১ এ সমতা।