নিউজিল্যান্ডের মাটিতে গত বছর প্রথমবারের মতো ক্রিকেটের অভিজাত ফরম্যাট টেস্টে জয় পায় বাংলাদেশ। সেই ম্যাচ জয়ের নেপথ্যে ছিলেন টাইগার পেসার এবাদত হোসেন। হয়েছিলেন ম্যাচসেরাও। দ্বিতীয় ইনিংসে কিউই ব্যাটারদের ৬ উইকেট শিকার করেন তিনি।
সেই স্পেলটিকে বর্ষসেরা বোলিং স্পেল হিসেবে ঘোষণা করেছে উইজডেন। শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) এ বিষয়টি জানিয়েছে ক্রিকেটের অ্যালমানাক খ্যাত উইজডেন। মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে আগে ব্যাটিং করে প্রথম ইনিংসে নিউজিল্যান্ড করেছিল ৩২৮ রান।
এবাদত পেয়েছিলেন কেবল একটি উইকেট। বোল্ড করেছিলেন নিউজিল্যান্ডের উইকেটরক্ষক টম ব্লান্ডেলকে। জবাবে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে করেছিল ৪৫৮ রান। ব্যাট হাতে লিটন, মুমিনুল, জয়, শান্ত, মিরাজরা ভালো করেছিলেন।
কিন্তু তখনো কেউ ধারণাও করতে পারেননি যে এই ম্যাচ জয়ের নায়ক হবে বোলার এবাদত হোসেন। এবাদতের তোপে দ্বিতীয় ইনিংসে কিউইরা অলআউট হয় ১৬৯ রানে। কিউই ব্যাটারদের মধ্যে উইল ইয়ং হাফসেঞ্চুরি করেন।
এবাদতের বোলিং তোপে মাঠ ছাড়েন ডেভন কনওয়ে, উইল ইয়ং, হেনরি নিকোলস, টম ব্লান্ডেন, রস টেইলর ও কাইল জেমিসন। বাকি উইকেটগুলো ভাগাভাগি করে নেন তাসকিন ও মিরাজ। ২১ ওভারে ৪৬ রান খরচায় এবাদত নেন ছয়টি উইকেট।
মেডেন ওভারও করেন ছয়টি। ফলে জয়ের জন্য টাইগাররা লক্ষ্য পায় মাত্র ৪০ রানের। রান তাড়া করতে নেমে সাদমান ইসলাম ও নাজমুল হোসেন শান্তর উইকেট হারিয়ে জয়ের দেখা পায় টাইগাররা।
এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছে পাকিস্তানকে হারানো প্যাট কামিন্সের ৫৬ রানের বিনিময়ে পাঁচ উইকেট। তৃতীয় স্থানে আছে নিউজিল্যান্ডের ম্যাট হেনরির মাত্র ২৩ রানের বিনিময়ে সাত উইকেট, এটি দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে।
চতুর্থস্থানে পাকিস্তানের বিপক্ষে ওলি রবিনসনের ৫০ রানে পাঁচ উইকেট। ও তালিকার শেষ অর্থাৎ পঞ্চম স্থানে আছে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রভাত জয়সুরিয়ার ৫৯ রানে ছয়টি উইকেট।