Breaking News

ফের ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পাকিস্তানের রুদ্ধশ্বাস জয়, অভিষেকেই বাজিমাত আমির জামালের

টানা দুই জয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল পাকিস্তান। সাত ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে এখন ৩-২ এগিয়ে বাবর বাহিনী। আবারো তীরে এসে তরি ডুবলো ইংল্যান্ডের। অভিষিক্ত আমির জামালের বুদ্ধিদীপ্ত বোলিংয়ে ৫ রান আগেই থেমে যেতে হলো ইংল্যান্ডকে।

মাঠে থেকেও মইন আলি জেতাতে পারলেন না দলকে। বুধবার ২-২ সমতায় সাত ম্যাচ সিরিজের পঞ্চম ম্যাচ খেলতে নামে পাকিস্তান-ইংল্যান্ড। গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিং নেয় সফরকারী ইংল্যান্ড। .

সিরিজের প্রতিটি ম্যাচের ধারাবাহিকতায় আজও একাধিক পরিবর্তন দু’দলেরই একাদশে। যদিও দুই দলের একাদশে এতো ঘনঘন পরিবর্তনের পেছনে রয়েছে ভিন্ন গল্প।

বিশ্বকাপের আগে সব ক্রিকেটারকেই প্রস্তুত রাখা যেখানে ইংল্যান্ডের লক্ষ্য, সেখানে পাকিস্তান দলে ভিন্ন চিত্র। বাবর-রিজওয়ান ছাড়া ব্যাটিংয়ে ভরসা দিতে পারছেন না আর কোনো ব্যাটার।

এশিয়া কাপ থেকে টানা ব্যর্থ পাকিস্তানের মিডল অর্ডার। একেক দিন একেকজনকে খেলিয়েও মিলছে না সমাধান। পেস ইউনিটেও দেখা দিয়েছে দুর্বলতা। পেসাররা দিতে পারছেন না ধারাবাহিক সফলতা।

ফলে আজও একাদশে তিন পরিবর্তন পাকিস্তানের। খুশদিল, উসমান কাদির আর হাসনাইন বাদ পড়েছেন। শাদাব খানের সাথে হায়দার আলি দলে ফিরেছেন। অভিষেক হচ্ছে অলরাউন্ডার আমির জামালের।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে সাবধানী শুরু বাবর-রিজওয়ানের। তবে সাবধানী শুরুও মার্ক উডের থেকে বাঁচাতে পারেনি পাকিস্তান অধিনায়ককে। ১২ বলে ৯ রান করে ফিরেন সাজঘরে। নিজের দ্বিতীয় ওভারে দ্বিতীয় শিকার হায়দার আলি।

এর আগে পাওয়ার প্লে শেষ হবার এক বল আগে উইলির শিকার হয়ে ফিরেন শান মাসুদও। ফলে এইদিন আরো একবার পাকিস্তানের ভরসার নাম রিজওয়ান।

৩০ রানের জুটি গড়ে প্রাথমিক বিপর্যয় যখন কাটিয়ে উঠতে যাবে পাকিস্তান, তখন ফের আঘাত উড-উইলি জুটির। উইলি ফেরান ১৫ রান করা ইফতেখারকে। উডের তৃতীয় শিকার আসিফ আলী।

কোনো রান করতে পারেননি নাওয়াজও। রান আউট হয়ে ফিরেছেন তিনি। শাদাব খানও ২ বলে ৭ করে শিকার হয়েছেন রান আউটের। অভিষিক্ত আমির জামালও থিতু হতে পারেননি, ফিরেছেন ১০ রানে। তখনো রিজওয়ান আছেন মাঠে।

স্যাম কুরানের দ্বিতীয় শিকার হয়ে রিজওয়ান যখন মাঠ ছাড়েন, নামের পাশে তখন ৪৬ বলে ৬৩ রান। দুই চার আর তিন ছক্কায় এই রান করেন সময়ের সব থেকে ধারাবাহিক এই ব্যাটার।

ক্রিস ওকস হারিস রউফকে ফেরালে ৬ বল থাকতেই শেষ হয় পাকিস্তানের ইনিংস। অল আউট হয় তারা ১৪৫ রানে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই ফিলিপ সল্টকে হারায় ইংল্যান্ড।

আর পাওয়ার প্লেতে ৩০ রানেই আরো দুই উইকেট হারায় তারা। এলেক্স হেলস ১ রানে ও বেন ডাকেট ফিরেন ব্যক্তিগত ১০ রানে। হ্যারি ব্রকও আজ দাঁড়াতে পারলেন না, ফিরেছেন ৪ রানে।

ইংল্যান্ডের ভরসা তখন ডেভিড মালানে। কিন্তু আশাভঙ্গ করে তিনিও ফেরেন ৩৬ রানে। রানের গতি ফেরাতে গিয়ে ১১ বলে ১৭ করে একই পথে। আশার বাতিঘর হয়ে তখনো মাঠে ইংলিশ অধিনায়ক মইন আলি।

শুরুতে একপ্রান্ত আগলে রেখেছেন, শেষে এসে হাত খুলেছেন। তবে অপর প্রান্ত থেকে সমর্থনের অভাবে ভুগেছেন। শেষ ৩ ওভারে ৪০ থেকে শেষ ওভারে প্রয়োজন তখন ১৫ রান।

ব্যাটিং প্রান্তে থেকেও মইন মেলাতে পারলেন না সমীকরণ। থেমে যেতে হলো ৫ রান আগেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *