ইনজুরির কারণে মাঠের বাইরে ছিলেন কিলিয়ান এমবাপে। অন্যদিকে চোট কাটিয়ে মাঠে ফিরেছিলেন নেইমার। মেসি তো ছিলেনই। তবুও মার্সেইর বিপক্ষে হার এড়াতে পারল না ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা।
আর তাতে ফরাসি কাপ থেকে ছিটকে গেল টুর্নামেন্টের ইতিহাসে সবচেয়ে সফল দলটি। বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে প্রতিপক্ষের মাঠে মার্সেইর কাছে ২-১ গোলে হেরেছে পিএসজি।
প্রথমার্ধে সমতায় থেকে বিরতিতে যাওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে মালিনোভস্কির গোলে জয়ের দেখা পায় স্বাগতিক দলটি। ঘরের মাঠে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেছে মার্সেই। তবে চতুর্থ মিনিটে প্রথম সুযোগ পায় পিএসজি।
নেইমারের বাড়ানো বলে নুনো মেন্ডেসের শট কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন মার্সেই গোলরক্ষক পাও লোপেস। আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে জমে ওঠা লড়াইয়ে ৩১তম মিনিটে এগিয়ে যায় মার্সেই।
মার্সেই ফরোয়ার্ড চেঙ্গিস আন্দারকে সার্জিও রামোস ফাউল করায় পেনাল্টি পেয়ে যায় মার্সেই। স্পটকিক থেকে গোল করতে ভুল করেননি অ্যালেক্সিস সানচেজ। ৪০তম মিনিটে নেইমারের দুর্দান্ত এক শট ফেরত আসে পোস্টে লেগে।
এক মিনিট যোগ করা সময়ের শেষ মুহূর্তে সমতা ফেরায় পিএসজি। নেইমারের চমৎকার কর্নারে লাফিয়ে দারুণ হেডে জাল খুঁজে নেন রামোস। ১-১ গোলের সমতায় শেষ হয় প্রথমার্ধ।
দ্বিতীয়ার্ধের ৫৭তম মিনিটে ফের এগিয়ে যায় মার্সেই। নিজেদের অর্ধে থ্রো-ইনে ডি-বক্সের কাছে বল হারিয়ে বিপদ ডেকে আনে পিএসজি। সানচেসের শট জটলার মধ্যে একজন ফিরিয়ে দেন।
ফিরতি বলে ডি-বক্সের বাইরে থেকে বুলেট গতির শটে ঠিকানা খুঁজে নেন মালিনোভস্কি। আবারও পিছিয়ে পড়ার পর ম্যাচে ফিরতে মরিয়া হয়ে ওঠে পিএসজি।
তবে ডিফেন্ডারদের দৃঢ়তায় জয়টা ছিনিয়ে নেয় মার্সেই। এই হারে টানা দ্বিতীয়বার ফরাসি কাপের রাউন্ড অব সিক্সটিন থেকে বাদ পড়ল পিএসজি।