Breaking News

অস্ট্রেলিয়াকে উড়িয়ে দিয়ে পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে ‘দক্ষিণ আফ্রিকা’

যেখানে প্রতিটা ম্যাচই বাঁচা-মরার লড়াইয়ের মতো। সেখানে কিনা টানা দুই ম্যাচ হার! তাও শিরোপাপ্রত্যাশী অস্ট্রেলিয়া। শিরোপা জেতাই বিশ্বকাপে যাদের একমাত্র লক্ষ্য থাকে। টুর্নামেন্টের পরবর্তী ম্যাচগুলোয় অস্ট্রেলিয়া কতটুকু কী করে,

সেটা সময়ই বলে দেবে। তবে প্রথম দুই ম্যাচে অন্তত অজিদের মাঝে শিরোপা জেতার তাড়না দেখা যায়নি। আজ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচটা সতর্ক জাগানিয়া অস্ট্রেলিয়ার জন্য। ব্যাটে-বলে প্রোটিয়াদের কাছে

স্রেফ উড়ে গেছেন প্যাট কামিন্সরা। অস্ট্রেলিয়ার লক্ষ্য ছিল ৩১২ রান। লড়াই জমিয়ে তোলা তো দূরে থাক, অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় ২০ ওভারের মধ্যে। ১৭.২ ওভারে স্কোরবোর্ডে ৭০ রান। উইকেট নেই ৬টি।

ডেভিড ওয়ার্নার, স্টিভ স্মিথরা একে একে ড্রেসিরুমের পথ ধরেছেন। এরপর আর কী? অস্ট্রেলিয়া অলআউট হয়েছে ১৭৭ রানে। দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ জিতেছে ১৩৪ রানে। ৭০ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর মারনাস লাবুশেন ও মিচেল স্টার্কের ৬৯ রানের

জুটিতে মুখ রক্ষা হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার। লাবুশেন করেছেন দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৬ রান। স্টার্কের ব্যাট থেকে এসেছে ২৭ রান। তিনটি উইকেট নিয়েছেন কাগিসো রাবাদা। অস্ট্রেলিয়ার দুর্দশার শুরু বোলিং থেকে।

কুইন্টন ডি ককের ঝোড়ো শুরু এলেমেলো করে দিয়েছিল কামিন্স-স্টার্কদের। বাভুমার সঙ্গে ডি ককের ১০৮ রানের ওপেনিং জুটি। বাভুমা ৩৫ রানে আউট হয়েছেন। তিনে নামা ভান ডার ডুসেন ২৬ রানে আউট হলেও রানের গতি কমতে দেননি এইডেন

মাক্রাম। ৪৪ বলে ৫৬ রান করেছেন মাক্রাম। তাঁর ইনিংসে সাত চার ও এক ছক্কা। মাক্রামের ইনিংসের আগে সেঞ্চুরি তুলে আউট হয়েছেন ডি কক। বিশ্বকাপে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে সেঞ্চুরি করলেন এই বাঁহাতি ওপেনার।

ডি ককের ইনিংসটি ১০৬ বলে ১০৯ রানের। আট চার ও পাঁচ ছক্কায় সাজানো তাঁর ইনিংসটি। শেষ দিকে হেনরিখ ক্লাসেনের ২৯, ডেভিড মিলারের ১৭ ও মার্কো ইয়ানসেনের ২৬ রানে বড় সংগ্রহ পেয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। এ জয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে এখন দক্ষিণ আফ্রিকা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *