সাম্প্রতি উইন্ডিজ ১ম টেস্টে পেসাররা ভালো করায় পেসারসের প্রশংসা করেছেন অধিনায়ক সাকিব। যার সব থেকে বড় অবদান মনে করন তাসকিনের কারন। ইনজুরির কারণে উইন্ডিজ সফরের টেস্ট স্কোয়াডে নাম নেই তাসকিন আহমেদের।
তাকে ছাড়াই অ্যান্টিগা টেস্টে মাঠে নামে বাংলাদেশ দল। ম্যাচটি ৭ উইকেটে হারলেও বল হাতে দাপট দেখিয়েছেন টাইগার বোলাররা।
তাসকিনকে আইডল মেনেই পেস বোলিং বিভাগ বদলে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন সাকিব। বিশ্ব নন্দিত এমন একজন ক্রিকেটারের কাছ থেকে প্রশংসায় ভেসে অনুপ্রাণিত হচ্ছেন তাসকিন।
মিরপুরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান এই ডানহাতি পেসার। যেখানে তাসকিন বলেন, ‘এটা আসলে সংশয় নেই তিনি একজন লিজেন্ড। তিনি যখন বলেছে, ব্যক্তিগতভাবে খুবই ভালো লেগেছে আমার।
আরো অনুপ্রাণিত করেছে আমাকে যে, আমি আরো ভালো করতে পারব। খুব ভালো লেগেছে আসলে। তাসকিনের প্রশংসা করে সাকিবের বক্তব্য ছিল এমন, ‘একটা বড় কৃতিত্ব দিতে হয় আসলে তাসকিনকে।
তাসকিন আসলে শেষ দুই-তিন বছরে দেখিয়ে দিয়েছে যে, কিভাবে আসলে একজন পেস বোলার বড় হতে পারে কিংবা সামনের দিকে এগোতে পারে এবং ব্যাকরণগত কিভাবে উন্নতি করতে পারে।
আমার মনে হয়, তাকে অনেকেই অনুসরণ করে। আমাদের পেস বোলারদের ভালো করার পেছনে এটা একটা বড় কারণ।তাসকিনকে নিয়ে সাকিবের এমন মন্তব্যের কারণও আছে বৈকি।
নিজের ওপর থাকা আত্মবিশ্বাসের জোর তাসকিন খুব ভালোভাবে প্রয়োগ করেছেন। ইনজুরি আর অফ ফর্মে একসময় তো নিজেকে হারাতে বসেন এই ডানহাতি পেসার।
কঠোর পরিশ্রম করেছেন, লড়েছেন নিজেকে ফিরে পাওয়ার জন্য। তার ফল হিসেবে বাংলাদেশ পেস বোলিং বিভাগের নেতৃত্ব তুলেছেন নিজের কাঁধে, সেটা আবার তিন ফরম্যাটেই।
বাংলাদেশ দলে পেস বোলিং বিভাগকে শক্ত ভিত দিয়ে দাঁড় করাচ্ছেন। তার ফল মিলেছে নিউজিল্যান্ড সফরে। সেখানে পেসারদের হাত ধরে প্রথমবারের মতো টেস্ট জিতেছে টাইগাররা।
অথচ দীর্ঘদিন দলের বাইরে থাকায় অনেকেই তাসকিনের ক্রিকেট ক্যারিয়ারের শেষ দেখেছিল। ২০২০ সালের শুরুতে নিউজিল্যান্ড সফরের স্কোয়াডে ডাক পেয়েও বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচ খেলতে গিয়ে পায়ে চোট পান।
এরপর ভাবা হচ্ছিল, তার ফেরার রাস্তা বন্ধ হয়ে গেল। কিন্তু তাসকিন অসম্ভবকে সম্ভব করে আবার ফিরেছেন। টপকে গেছেন বাঁধার প্রাচীর।