শ্রীরধরন শ্রীরাম দলের টেকনিক্যাল কনসালটেন্ট তিনি চান ইমপ্যাক্টফুল ইনিংস। মানে ৩০ বলে ৩৫ করার চেয়ে শ্রীরামের কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ১০ বলে ২০-২৫ রানের ইমপ্যাক্ট। দায়িত্ব নেওয়ার পরই শ্রীরাম জানিয়েছেন,
তিনি অভিজ্ঞ কিংবা ধরে খেলার মতো ব্যাটার খুঁজছেন না, তার দরকার ইমপ্যাক্টফুল ব্যাটার। যিনি কয়েক বল খেলে রানের গতি বদলে দিতে পারবেন। শ্রীরাম দায়িত্ব নেওয়ার পর বাংলাদেশের ওপেনিং জুটিতে এসেছে পরিবর্তন।
মেকশিফট ওপেনার মেহেদি হাসান মিরাজ আর সাব্বির রহমানই এখন মূল ওপেনারের ভূমিকায়। কেমন লাগছে ওপেনিংয়ে খেলতে? মিরাজ তার ভাবনা শেয়ার করতে গিয়েও কোচের সঙ্গে যেন সুর মেলালেন। তু
লে আনলেন অল্প কয়েকদিনে বাংলাদেশের ক্রিকেটে পরিচিতি পাওয়া ‘ইমপ্যাক্ট’ শব্দটা। মিরাজ বলেন, ‘টিম ম্যানেজম্যান্ট আমাকে ইনিংস ওপেন করার একটি সুযোগ দিয়েছে।
কেননা তারা মনে করছে, এটা ভালো আইডিয়া। আমি তাই নিজেকে (এই জায়গায়) প্রস্তুত করার চেষ্টা করছি। সম্ভবত তারা আমার কাছ থেকে বড় ইনিংস প্রত্যাশা করেন না।
বরং আমি যদি ইমপ্যাক্টফুল ইনিংস খেলে দিতে পারি, তবে দলের বড় উপকার হবে’-যোগ করেন অফস্পিনিং অলরাউন্ডার। দুবাইয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ঘাম ঝরিয়ে জিতেছে বাংলাদেশ।
শেষ ওভারে গিয়ে কোনোমতে ৭ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে টাইগাররা। আরব আমিরাতের মতো প্রতিপক্ষের বিপক্ষে এমন কষ্টার্জিত জয় কতটা স্বস্তির?
মিরাজ এই জয়কে ইতিবাচক হিসেবে দেখতে চান, ‘আমাদের একটা ম্যাচ জেতা দরকার ছিল। দলের পরিবেশ এখন খুব ভালো। কোচিং স্টাফরা আমাদের সমর্থন দিচ্ছে।
আফিফ দারুণ একটি ইনিংস খেলেছে। আমাদের চাপের মুখে জয় তুলে নেওয়া দরকার ছিল, কেননা এমন পরিস্থিতিতে আমরা অনেক ম্যাচ হেরেছি। মিরাজ মনে করছেন, বিশ্বকাপের আগে দলের ভুলত্রুটিগুলো শুধরানো জরুরী।
আগামী ম্যাচেও সেই চেষ্টা থাকবে, জানিয়ে এই অলরাউন্ডার বলেন, ‘আমরা এখানে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নিতে এসেছি। আমরা ভুলগুলো শোধরানোর চেষ্টা করছি। আগামী ম্যাচেও সেটা করার চেষ্টা করবো।’