Breaking News

কাল আরব আমিরাতের বিপক্ষে বাংলাদেশর হোয়াইটওয়াশের মিশন !

বাংলাদেশর হোয়াইটওয়াশের মিশন ! জয়ের ধারা অব্যাহত রেখে স্বাগতিক সংযুক্ত আরব আমিরাতকে হোয়াইটওয়াশ করার লক্ষ্যে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে আগামীকাল মাঠে নামবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।

আগামীকাল দুবাইয়ের স্পোর্টস সিটি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত আটটায়। দুর্বল আমিরাতের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে বেশ কষ্ট করেই জিততে হয়েছে বাংলাদেশকে।

দলের পারফরম্যান্স মোটেই আশানুরূপ ছিলো না। তাই দ্বিতীয় ম্যাচে পারফরম্যান্সের উন্নতি ঘটানোও লক্ষ্য টাইগারদের। গতকালের ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ৫ উইকেটে ১৫৮ রান তুলে বাংলাদেশ।

বাজে শুরুর পরও লড়াকু পুঁজি পায় টাইগাররা। আরব আমিরাত ইনিংসের শেষ পর্যন্ত আফজাল খান ক্রিজে থাকায়, কপালে চিন্তার ভাঁজ ছিলো বাংলাদেশের। শেষ পর্যন্ত ঘাম ঝরিয়ে জিততে হয়েছে বাংলাদেশকে।

শেষ ওভারে জয়ের জন্য ১১ রান দরকার পড়ে আরব আমিরাতের। কিন্তু শেষ ওভারের তৃতীয় ও চতুর্থ বলে আয়ান আর জুনায়েদকে বিদায় দিয়ে স্বস্তির জয় পায় বাংলাদেশ।

তবে আরব আমিরাতের জন্য এই হার, জয়ের সমান। ইনিংসের ২ বল বাকী থাকতে ১৫১ রানে গুটিয়ে যায় আরব আমিরাত।ম্যাচটি জিতলেও টাইগারদের খেলায় কোন উন্নতি চোখে পড়েনি।

ব্যাটারদের ব্যর্থতা অব্যাহত থাকলেও, নিজের ফর্ম ধরে রেখেছেন আফিফ হোসেন। তার অপরাজিত ৭৭ রানের সুবাদেই ১৫৮ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। ফিল্ডিংয়ের সমস্যাটা ভলোভাবে আবারও ফুটে উঠে।

ক্যাচ ড্রপ, ফিল্ডিং মিস বাংলাদেশের জন্য বড় চিন্তার বিষয়। অনেকদিন পর সিনিয়র খেলোয়াড় ছাড়াই এমন একটি ম্যাচ খেলতে নামে বাংলাদেশ।

তবে আফিফ হোসেন মনে করেন, সিনিয়রদের অনুপস্থিতি কোন প্রভাব ফেলবে না। কারণ দুর্বল প্রতিপক্ষের বিপক্ষে খেলেছে বাংলাদেশ। ম্যাচ শেষে আফিফ বলেন, ‘কিছু সিনিয়র খেলোয়াড় না থাকলেও, আমাদের ওপর কোন বাড়তি চাপ নেই।

আমাদের সবসময় সেরা একাদশই থাকে। আমি আশা করি পরের ম্যাচেও রান করতে পারবো আমি। উইকেট শুরুতে বেশ কঠিন ছিল বলেই বাংলাদেশের টপ অর্ডাররা ভালো করতে পারেনি বলে মনে করেন আফিফ।

৭৭ রানের মধ্যে বাংলাদেশের ৫ উইকেটের পতন ঘটে। সঙ্গত কারণেই এরপর লড়াই করার মত পুঁজি না পাওয়ার শংশঙ্কায় পড়ে বাংলাদেশ।

কিন্তু ষষ্ঠ উইকেটে আফিফ এবং অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানের ৫৪ বলে অবিচ্ছিন্ন ৮১ রান বাংলাদেশকে লড়াই করার মত সংগ্রহ এনে দেয়। আফিফ বলেন, ‘শুরুতে একটু কঠিন ছিল। বল গ্রিপিং হয়েছিল।

টপ অর্ডার ভালো করতে পারেনি। আশা করছি, পরের ম্যাচে ভালো করবে তারা। তবে এটি সমস্যা নয়। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এ পর্যন্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে দু’বারের মুখোমুখিতে শতভাগ জয় বাংলাদেশের।

সবমিলিয়ে এখন পর্যন্ত টি-টোয়েন্টিতে ১৩৪টি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। এরমধ্যে টাইগারদের জয় আছে ৪৬টিতে, হার ৮৫টিতে। তিনটি ম্যাচ হয়েছে পরিত্যক্ত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *