অবশেষে ৩০ বছরের আক্ষেপ মেটালো শ্রীলঙ্কা অস্ট্রেলিয়াকে ৩-১ এ হারিয়ে সিরিজ জয় করে নিয়ে। ম্যাচ জেতার সঙ্গে সিরিজে টিকে থাকার লড়াই অস্ট্রেলিয়ার। এমন সমীকরণের ম্যাচে শেষ ওভারে অজিদের প্রয়োজন ছিল ১৯ রান।
অধিনায়কের হাতে কোনো অপশন না থাকায় প্রথম ওভারে ১৩ রান দেয়ার পরও শেষ ওভারে বল হাতে তুলে নেন দাসুন শানাকা।
প্রথম বলটা অবশ্য দুর্দান্তই করেছিলেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক। আউট সাইড অফ স্টাম্পের বল ব্যাটেই লাগাতে পারেননি ম্যাথু কুনেম্যান। তবে দ্বিতীয় বলে শানাকার ফুলটস বলে পয়েন্ট দিয়ে বাউন্ডারি ছাড়া করেন বাঁহাতি এই ব্যাটার।
পরের তিন বলে দুই চার ও এক ডাবলে নিয়েছেন আরও ১০ রান। তাতে শেষ বলে অস্ট্রেলিয়ার প্রয়োজন ছিল ৫ রান। এমন সমীকরণে শানাকার স্লোয়ার ডেলিভারিতে ভড়কে যান কুনেম্যান।
ডানহাতি এই পেসারের স্লোয়ার ডেলিভারিতে কভার দিয়ে তুলে মারতে গিয়ে চারিথ আসালঙ্কার হাতে ক্যাচ তুলে নেন ১২ বলে ১৫ রান করা এই ব্যাটার। তাতে ৪ রানের জয়ে ম্যাচের সঙ্গে সিরিজও জিতে নেয় শ্রীলঙ্কা।
এর আগে সর্বশেষ ১৯৯২ সালে ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ জিতেছিল শ্রীলঙ্কা। এরপর খেলা তিন সিরিজের সবকয়টিই হেরেছে তারা।
এবার সুযোগ কাজে লাগিয়েছে আবার ঘরের মাঠে অসিদের বিপক্ষে সিরিজ জিতে। আজ (মঙ্গলবার) পাঁচ ম্যাচ সিরিজের চতুর্থ ওয়ানডে জিতলেই সিরিজ করে লঙ্কানরা।
কলম্বোর প্রেমদাসা স্টেডিয়ামে সেই মিশনে অবশ্য টস হেরে গেয়ে ব্যাট করে নির্ধারিত ওভারের আগেই ২৫৮ রানে অল আউট হয়ে যায় শ্রীলংকা দলের পক্ষে সর্বউচ্চ ১১০ রান করে প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন আসালাঙ্কা।
টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। প্রথম তিন ম্যাচের দুইটিতে জিতেছে শ্রীলঙ্কা, অন্যটির ফল গেছে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে।