Breaking News

হঠাৎ মেসির ১০ নাম্বার জার্সির চাহিদা বাড়ায় বিশ্বব্যাপী সংকটে অ্যাডিডাস

লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা এখন বিশ্বকাপের ফাইনালে। রোববার ফ্রান্সের বিপক্ষে শিরোপা লড়াইয়ে মাঠে নামবেন গ্রহের সেরা ফুটবলার। বিশ্বব্যাপী মেসির ভক্তের সংখ্যা কত তা হয়তো কেউ গুনে বলতে পারবে না।

তবে এটা নিশ্চিত, তার চেয়ে জনপ্রিয় ফুটবলার আর নেই। বিশ্বকাপের ফাইনালে দলকে তুলে আনার পর নিঃসন্দেহে তার ভক্তের সংখ্যা আরও বেড়েছে! একটা পরিসংখ্যানেই জানা যাচ্ছে বিষয়টা।

আর্জেন্টিনা দলের জার্সি তৈরিকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাডিডাস মেসির ১০ নম্বর এবং নামাঙ্কিত যত জার্সি তৈরি করেছে বিশ্বকাপ উপলক্ষে, সেগুলো এরই মধ্যে শেষ হয়ে গেছে। সারাবিশ্বে মেসির জার্সির এতবেশি চাহিদা তৈরি হয়েছে যে,

তা সরবারহ করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে অ্যাডিডাসকে। আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠার পর মেসির জার্সি বিক্রি বেড়ে যায় হু হু করে। যার ফলে বুয়েন্স আয়ার্স, মাদ্রিদ, দোহা, টোকিও- বিশ্বের এমন কোনো শহর নেই যেখানে মেসির জার্সি সংকট তৈরি হয়নি।

অ্যাডিডাসের আউটলেটের সামনে গেলেই ভক্তরা দেখতে পাচ্ছেন- ‘মেসি’স জার্সি! সোল্ড আউট। মাদ্রিদভিত্তিক ক্রীড়া দৈনিক মার্কা রিপোর্ট করেছে, বিশ্বের অধিকাংশ জায়গাতেই মেসির জার্সি আউট অব স্টক। সাইজ কোনো ব্যাপার নয়।

স্মল, লার্জ কিংবা এক্সট্রা লার্জ- মেসির নামাঙ্কিত কোনো সাইজেরই জার্সি মিলছে না কোনো আউটলেটে। কাতার বিশ্বকাপ এবং আর্জেন্টিনা যেভাবে ফাইনাল পর্যন্ত উঠে এসেছে, তাতে ম্যাচের পর ম্যাচ শুধু জার্সির চাহিদা বেড়েছেই।

অ্যাডিডাস দীর্ঘদিন ধরেই আর্জেন্টিনা ফুটবল দলের জার্সি তৈরিকারী প্রতিষ্ঠান। জার্মান এই প্রতিষ্ঠানটি আর্জেন্টিনা জার্সির স্পন্সর হওয়ার পর থেকেই তাদের ব্যবসা ফুলেফেঁপে বড় হতে থাকে।

কারণ সারাবিশ্বে আর্জেন্টিনার জার্সির যত চাহিদা সব সময়, তা অন্য আর কোনো ফুটবল দলের নেই। বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠার পর আর্জেন্টিনার জার্সি, বিশেষ করে মেসির জার্সির অপ্রতুলতা তৈরি হওয়ায় অ্যাডিডাসও পড়েছে মহাসংকটে।

এরই মধ্যে তড়িঘড়ি নতুন করে প্রোডাকশনে যেতে হচ্ছে তাদের। নতুন জার্সি তৈরি করে বাজারজাত করতে করতেও সময়ের প্রয়োজন। কিন্তু বিশ্বকাপ ফাইনালের আগে তো এতবেশি সময় নেই।

যার ফলে সংকটটা আরও তীব্র হচ্ছে অ্যাডিডাসের। যে কারণে অ্যাডিডাস ব্যাখ্যা করে জানিয়ে দিয়েছে, মেসিভক্তদের অপেক্ষায় থাকতে হবে।

কারণ এত কম সময়ের মধ্যে কোনোভাবেই সম্ভব নয় জার্সি তৈরি করে তা বিশ্বব্যাপী সরবরাহ করা। তাদের সাধ্যের মধ্যে যা কুলোয়, সেভাবে কিছু করতে পারে তারা। এর বেশি নয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *