Breaking News

লঙ্কান অধিনায়ক শানাকা: বাংলাদেশ দলকে সব সময় সম্মান করি

বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট মাঠের দ্বৈরথ গত কয়েক বছর ধরে বেশ ভালোই জমে উঠেছে। দুই দলের মুখোমুখি হওয়া মানেই মাঠের মধ্যে ভিন্ন একটি লড়াই জমে ওঠার ইঙ্গিত। কেউ কাউকে ছাড় দেয়ার বিন্দুমান্ত্র মানসিকতা নেই।

বরং, নানা ঘটনায় দু’দলের মুখোমুখি হওয়ার উত্তেজনাটা বেশ জমে ওঠে। বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কা দলের ক্রিকেটাররাও যেন এই বাড়তি উত্তেজনার সঙ্গে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে। এশিয়া কাপে আজ নিজেদের প্রথম ম্যাচে দু’দলের মুখোমুখি লড়াইয়েও সেই

আবেগ যে যুক্ত হবে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তাদেরই মাঠে সোহান-মুশফিকদের নাগিন ড্যান্স ক্ষেপিয়ে তুলেছিলো শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটার এবং সমর্থকদের। যার রেশ এখনও বইতে হয় দু’দলের ক্রিকেট লড়াইগুলোকে।

নিজেদের প্রথম ম্যাচের আগে বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটীয় সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছিলেন লঙ্কান অধিনায়ক দাসুন শানাকা। সেখানে বাংলাদেশ সম্পর্কে শানাকা নিজের ভাবনার কথা প্রকাশ করেন এভাবে,

বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা খুব দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে। সদ্য সমাপ্ত এলপিএলে গল টাইটান্সের হয়ে একই সঙ্গে খেলেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান এবং শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক দাসুন শানাকা। সংবাদ সম্মেলনে সম্পর্কের বিষয়টা নিয়ে

আবারও প্রশ্ন করা হলে শানাকা বলেন, ‘নিঃসন্দেহে বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটারদের পরস্পরের মধ্যে যথেষ্ট সম্মানসূচক সম্পর্ক রয়েছে। দু’দলই একে অপরকে বেশ সম্মান করে।

আর অবশ্যই বাংলাদেশকে আমরা একটি শক্তিশালী দেশ হিসেবেই মনে করি।’ একে অপরকে সম্মান করার কথা বলে শানাকা যে বিষয়টা আড়াল করার চেষ্টা করলেন, সেটা হচ্ছে- দুই দল মাঠে মুখোমুখি হওয়া মানেই মানসিকভাবেও প্রতিদ্বন্দ্বীতা তৈরি

হওয়া। তবে বিষয়টাকে ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করলেন লঙ্কান অধিনায়ক। তিনি বলেন, ‘এলপিএলে সাকিব আল হাসানের সঙ্গে খেলাটা হয়তো আমার জন্য সুবিধাজনকই হয়েছে।

বুঝতে পেরেছি, বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা হঠাৎ যে কোনো সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে পারে, হঠান যে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে। তবে, যত কিছুই হোক এবং যত কাছ থেকেই দেখা হোক না কেন,

সাকিবের কাছ থেকে ভিন্ন কোনো কিছু শেখার সুযোগ হয়নি বলেই জানালেন শানাকা। তিনি বলেন, ‘তিনি (সাকিব) এমন এক ক্রিকেটার, যিনি আপনাকে অনেক কিছু বলবে না হয়তো।

এমনকি আমরা একই সঙ্গে খেললেও আমি নিজেও অনেক কিছু শেয়ার করিনি। যখন এশিয়া কাপের মত একটি টুর্নামেন্ট সামনে, তখন অবশ্যই আপনি নিজের ভেতর থাকা পরিকল্পনার কথা আগ বাড়িয়ে জানিয়ে দেবেন না!

তবে, একটি আন্তর্জাতিক ম্যাচের আগে স্বাভাবিক নিয়মে প্রতিপক্ষের প্রতি সম্মান এবং শ্রদ্ধা দেখানোটা নিয়ম। সেটাই পালন করলেন শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক। তিনি বলেন, ‘উত্তাপ-উত্তেজনা কিংবা আওয়াজ, যা হওয়ার তার সবই হচ্ছে মাঠের বাইরে।

মাঠের ভেতর আমরা একে অপরকে সম্মান করি। আমাদের মধ্যে সম্পর্কটাও দারুণ। বাইরের আওয়াজকে তো আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবো না। তবে মাঠে আমাদের মধ্যে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন অটুট থাকে সব সময়।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *