Breaking News

বিশ্বকাপের সেরা ফিনিশার ‘ম্যাথু ওয়েড’ বলছেন ক্রিকেট বিশ্লেষকেরা

সাবেক ক্রিকেটার মাইকেল বেভান বলেছেন, হোম কন্ডিশনকে কাজে লাগিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা ধরে রাখার দারুন ‘সুযোগ’ রয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার।

তবে তার মতে, এই লক্ষ্যে অজিদের ‘আসল ফিনিশার’ হয়ে উঠতে পারেন ম্যাথু ওয়েড। আগামী ২২ অক্টোবর সিডনিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করবে অ্যারন ফিঞ্চের অস্ট্রেলিয়া।

গত বছর দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে তারা প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। ৫০ ওভারের ওয়ানডে বিশ্বকাপের পাঁচটি শিরোপাজয়ী অস্ট্রেলিয়া গতবারই প্রথম টি-টোয়েন্টির শিরোপা জয় করেছে।

শিরোপাজয়ী দলের অধিকাংশ খেলোয়াড়ই আছেন এবারের বিশ্বকাপ স্কোয়াড। বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ৫২ বছর বয়সী বেভান বলেন, ‘আমার মনে হয় তারা বেশ ভালো একটি দল। দলটিতে দক্ষ অনেক খেলোয়াড় রয়েছে।

এমনিতেই তারা বর্তমান চ্যাম্পিয়ন। পাশাপাশি পেতে যাচ্ছে ঘরের মাঠের সুবিধা। ২০০৪ সালে অবসর গ্রহণের আগে ওয়ানডে ক্রিকেটে বিশ্বের অন্যতম এই সেরা ব্যাটার বলেন, ‘আমার মতে বিশ্বকাপ জয়ের দারুণ সুযোগ রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার।

শিরোপা জয়ে তারা বেশ ইতিবাচক। ’ নিজের আমলে সেরা ফিনিশার হিসেবে খ্যাতি ছিল বেভানের। তার মতে উইকেটরক্ষক ম্যাথু ওয়েডও অস্ট্রেলিয়াকে একটি সফল ফিনিশিং দেওয়ার জন্য আদর্শ ক্রিকেটার।

এক বছর আগে তিনিই বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের ১৯তম ওভারে বেশ ঠাণ্ডা মাথায় পাকিস্তাান পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদির বলে তিনটি ছক্কা হাঁকিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে স্মরণীয় এক জয় এনে দিয়েছিলেন।

বেভান বলেন, ‘চাপের মধ্যে তার বেশ কিছু ভালো ইনিংস রয়েছে। আশা করছি এবারও তার সেই ভূমিকা দেখার অপেক্ষায় রয়েছে অজি নির্বাচকরা। ম্যাথু ওয়েডের মধ্যে এ বিষয়ে বেশ কিছু ইতিবাচক বিষয় দেখা যাচ্ছে।

সেই হিসেবেই অস্ট্রেলিয়া ব্যাটিং লাইনে তার অবস্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। ’ এবারের আসরে শিরোপা জয়ের সম্ভাবনা ভারত ও ইংল্যান্ড দলের মধ্যেও আছে বলে মনে করেন বেভান।

২৩২টি ওয়ানডে ম্যাচে অংশ নিয়ে গড়ে ৫৩’র ওপরে রান সংগ্রহকারী বেভান আরো বলেন, ‘আগে অজি দলে ছিল তিনজন মুখ্য খেলোয়াড়। তারা হলো ডেভিড ওয়ার্নার, অ্যারন ফিঞ্চ ও স্টিভ স্মিথ। কিন্তু এই টুর্নামেন্টে তাদের ঘিরে কিছুটা হলেও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

অস্ট্রেলিয়া দল চায় ওই তিন ক্রিকেটারের অগ্নিমূর্তি। সুযোগ পেলেই তারা যেন পারফর্ম করে। হয়তো স্পিনাররা মোটামুটি ভূমিকা রাখবে; কিন্তু পেস বোলিংটাই পার্থক্য গড়ে দেবে। ’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *