দুবাইয়ে ভারত-পাকিস্তান সুপার ওভার ম্যাচে টানা বল করছিলেন ভারতের লেগ স্পিনাররা। আর সেটি দেখেই কিনা একটা বাজির তাস ফেললেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। চাহালের বলে ফখর জামান আউট হতেই ব্যাটিংক্রমের চারে নামিয়ে দেন মোহাম্মদ নেওয়াজকে।
যিনি টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তান দলে বেশিরভাগ সময়েই সাত-আটের দিকে নামেন। লেগস্পিনারের বিপক্ষে বাঁহাতি ব্যাটার নওয়াজ খেললেন ২০ বলে ৪২ রানের বিধ্বংসী এক ইনিংস! তাতেই ম্যাচ হাতছাড়া হলো ভারতের।
১৮২ রানের বড় লক্ষ্য দিয়েও ৫ উইকেটে হারল রোহিত শর্মার দল। তাতে রবিন রাউন্ড ফরম্যাটে শ্রীলংকা ও পাকিস্তানের নিচে নেমে গেল ভারত। ভারতীয় সমর্থকদের দুশ্চিন্তা ফাইনালের টিকিট পাবে তো রোহিত-কোহলির দল?
পাকিস্তানের কাছে হারের পর কোন অঙ্কে ফাইনালে উঠতে পারে ভারত? এ প্রশ্নে অনেকের ভবিষ্যদ্বাণী— এবারের এশিয়া কাপে তৃতীয়বারের মতো পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে ভারত।
হয়তো ১১ সেপ্টেম্বর দুবাইতে ফাইনালে পাকিস্তানকে পাবে ভারত। সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। কারণ ২৮ আগস্ট গ্রুপ লিগের ম্যাচে পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে পরাজিত করেছিল ভারত।
আর সুপার ফোরে শ্রীলংকা ও পাকিস্তান একটি করে ম্যাচ জিতেছে। অর্থাৎ ভারতকে শ্রীলংকা ও আফগানিস্তান দুদলের বিপক্ষে জিততেই হবে। ওই দুটো ম্যাচ জিতলে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যাবে আফগানিস্তান।
ভারত তাদের বাকি দুটি খেলায় জিতলেও বাঁধা রয়েই যায়। ভারতকে অপেক্ষা করতে হবে পাকিস্তানের কাছে শ্রীলংকার পরাজয়ের আশায়। হারালে দ্বীপরাষ্ট্রটি প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে যাবে।
আর যদি শ্রীলংকা হারিয়ে দেয় পাকিস্তানকে তখন! তখন নেট রান রেট (NRR) একটা বড় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াবে। এর মাধ্যমেই টপ-টু নির্ধারণ করা হতে পারে। ফাইনালে উঠতে হলে ভারতকে পরের দুই ম্যাচ বড় ব্যবধানে জিততে হবে।
টিম ইন্ডিয়ার বর্তমান রানরেট-০.১২৬। শ্রীলংকা (+০.৫৮৯) এবং পাকিস্তান (+০.১২৬) পয়েন্ট টেবিলে দুই পয়েন্ট নিয়ে এগিয়ে রয়েছে। যাই হোক, সবই এখন নির্ভর করছে ৬ সেপ্টেম্বরে শ্রীলংকার বিপক্ষে ভারতের ম্যাচের ওপর।
আগে সেই ম্যাচে জিততে হবে ভারতকে। মঙ্গলবার শ্রীলংকার সঙ্গে খেলাটি হবে তাদের মরণপণ লড়াই। এ ম্যাচে হেরে গেলে কার্যত এশিয়া কাপ থেকে ছিটকে যেতে পারেন কপিল দেবের শিষ্যরা।
সে ক্ষেত্রে শ্রীলংকা-পাকিস্তানের ফাইনাল হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।এর পর ফাইনালে ওঠার মিশনে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ভারত নামবে ৮ সেপ্টেম্বর।