সিরিজের প্রথম দুই ওয়ানডে হেরে আগেই সিরিজ হেরেছিল বাংলাদেশ। তাই তৃতীয় ওয়ানডে ছিল বাংলাদেশের জন্য মান রক্ষার লড়াই। অন্যদিকে জিম্বাবুয়ের সামনে সুযোগ ছিল দীর্ঘ ২১ বছর পর বাংলাদেশকে ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করার।
তবে শেষ পর্যন্ত তা আর হতে দেয়নি তামিম ইকবালের দল। প্রথম দুই ম্যাচে দাপট দেখানো রোডেশিয়ানদের শেষ ম্যাচে ১০৫ রানের ব্যবধানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এর ফলে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছে জিম্বাবুয়ে।
২৫৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। প্রথম ওভারের তৃতীয় বলে ওয়াইড দিয়ে রোডেশিয়ানদের রানের খাতা খুলতে সাহায্য করেন হাসান মাহমুদ।
তবে একই ওভারের পঞ্চম বলে তাকুজওয়ানাশে কাইতানোকে লেগবিফোরের ফাঁদে ফেলেন এই পেসার। এরফলে প্রথম ওভারেই উইকেটের দেখা পায় বাংলাদেশ।
প্রথম ওভারে উইকেট হারিয়ে শুরুতেই কিছুটা বিপাকে পড়েছিল রোডেশিয়ানরা। সেই চাপ আরও বাড়িয়েছেন তাদিওয়ানশে মারুমানি। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে মিরাজের বলে বোল্ড হয়েছেন তিনি।
এর আগে ১ রান এসেছে এই ওপেনারের ব্যাট থেকে। আগের দুই ওয়ানডেতে ৩০৩ আর ২৯০ রানের পুঁজি নিয়েও পারেনি বাংলাদেশ। তবে এবার ২৫৬ রানের সংগ্রহ নিয়েই বড় জয়ের পথে আছে টাইগাররা।
তাইজুল-এবাদতদের দারুণ বোলিংয়ে ৮৩ রানেই ৯ উইকেট হারিয়ে বসেছে জিম্বাবুয়ে। এখন শুধু শেষ উইকেট ফেলার অপেক্ষা। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ২৯ ওভার শেষে ৯ উইকেটে ১২৫ রান তুলেছে স্বাগতিকরা।
প্রথম ওভারেই আঘাত হানেন পেসার হাসান মাহমুদ। ডানহাতি এই পেসারের দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে এলবিডব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফেরেন তাকুদজানাশে কাইতানো (০)।
পরের ওভারে মেহেদি হাসান মিরাজের আঘাত। তাদিওয়ানাশে মারুমানি (১) ডাউন দ্য উইকেটে খেলতে গিয়ে বলের লাইন মিস করে হারান স্টাম্প। ৭ রানে ২ উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে।
এবাদত হোসেন টেস্টে নিজেকে প্রমাণ করেছেন, এবার ওয়ানডে অভিষেকটাও রাঙালেন এই পেসার। প্রথম ম্যাচে উইকেটের জন্য তার অপেক্ষা করতে হলো মাত্র ৯ বল।
শুধু একটি উইকেট নয়, এক ওভারে টানা দুই বলে দুই শিকার করেন এবাদত। ইনিংসের পঞ্চম ওভারের তৃতীয় বলে এবাদতের লাফিয়ে উঠা ডেলিভারি বুঝতে না পেরে পয়েন্টে ক্যাচ তুলে দেন ওয়েসলে মাদভেরে (১)।
পরের ডেলিভারি তো ছিল রীতিমত বিস্ময়ের। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা সিকান্দার রাজা উইকেটে আসতে না আসতেই এবাদতের দুর্দান্ত ইয়র্কারে কিছু বুঝতে না পেরে হন বোল্ড।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ- ২৫৬/৯ (৫০ ওভার) (আফিফ ৮৫*, বিজয় ৭৬, মাহমুদউল্লাহ ৩৯; ইভান্স ২/৫৩, জংউই ২/২৮)
জিম্বাবুয়ে- ১৫১/১০ (৩২.২ ওভার) ( নাগারাভা ৩৪, নাইয়ুচি ২৫, মাদানে ২৪; মুস্তাফিজ ৪/১৭, এবাদত ২/৩৮)