জিম্বাবুয়ের পরাজয়ের ম্যাচে রানের জুটির রেকর্ড গড়লো ২ বোলিংয়ে। নিশ্চিত পরাজয় জেনেও দারুণ ব্যাটিং করেছেন জিম্বাবুয়ের দুই লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যান রিচার্ড এনগারাভা ও ভিক্টর নিয়াউচি। শেষ উইকেটে জিম্বাবুয়ের এই দুই পেসার ৫৮ বলে ৬৮ রানের রেকর্ড জুটি গড়েন।
২২.৬ ওভারে ৮৩ রানে ৯ উইকেট হারানো জিম্বাবুয়ে শতরানের নিচেই অলআউটের শঙ্কায় পড়ে যায়। সেই অবস্থা থেকে দলকে টেনে দেড়শ পার করতে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন এনগারাভা ও নিয়াউচি।
এর আগে ২০১০ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে শিঙ্গিরাই মাসাকাদজা ও ইয়ান নিকলস ৬০ রানের জুটি গড়ে ছিলেন। তাদের সেই জুটির রেকর্ড ১২ বছর স্থায়ী ছিল।
বুধবার হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে হোয়াইটওয়াশ এড়াতে নেমে আফিফ হোসেন (৮০*) ও এনামুল হক বিজয়ের (৭৬) জোড়া ফিফটিতে ভর করে ৯ উইকেটে ২৫৬ রান করে বাংলাদেশ।
টার্গেট তাড়া করতে নেমে ৩২.২ ওভারে ১৫১ রানে অলআউট হয় স্বাগতিক জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশ দলের হয়ে ১৭ রানে ৫ উইকেট নেন মোস্তাফিজুর রহমান। শেষ দৃশ্যে বাঘের গর্জন শোনা গেল।
হয়ত একটু দেরিতে, তবুও শেষটা তো সুন্দর হলো। জিম্বাবুয়ে সফরে টি-টোয়েন্টি সিরিজে হারের পর ওয়ানডে সিরিজও খুইয়েছে বাংলাদেশ। শঙ্কা ছিল নিজেদের ‘প্রিয়’ ফরম্যাটে ধবলধোলাই হওয়ার।
তবে বোলারদের আগুনে পারফরম্যান্সে সিরিজের শেষ ম্যাচে ১০৫ রানে জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে ধবলধোলাই এড়িয়েছে বাংলাদেশ। সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে বড় পুঁজি পেয়েও বোলাররা কাজে লাগাতে পারেননি।
তবে হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে ২৫৬ রানই যথেষ্ট হয়েছে। রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই নড়বড়ে জিম্বাবুয়ে।
প্রথম দুই ওভারেই যথাক্রমে দুই ওপেনার তাকুদজাওয়ানাশে কাইতানো (০) এবং তাদিওয়ানাশে মারুমানিকে (১) ফিরিয়েছেন হাসান মাহমুদ এবং মেহেদী হাসান মিরাজ।