ভারত ৮: ০ পাকিস্তান। বিশ্বকাপে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর লড়াই এতটাই একপেশে, এর আগে সাতবারের দেখায়ও ভারতকে হারাতে পারেনি পাকিস্তান। অষ্টমবারও একই পরিণতি হলো। আহমেদাবাদে আজ (শনিবার) পাকিস্তানকে
গুড়িয়ে ৭ উইকেট আর ১১৭ বল হাতে রেখে জয় তুলে নিয়েছে ভারত। এ নিয়ে এবারের বিশ্বকাপে টানা তৃতীয় ম্যাচে জিতলো রোহিত শর্মার দল, উঠে গেলো পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে। অন্যদিকে প্রথম দুই ম্যাচ জয়ের পর পাকিস্তান পেলো হারের স্বাদ।
১৯২ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুভমান গিলকে শুরুর দিকেই হারিয়েছিল ভারত। শাহিন শাহ আফ্রিদির শিকার হয়ে ব্যক্তিগত ১৬ রানে ফেরেন জ্বর কাটিয়ে বিশ্বকাপে প্রথমবার মাঠে নামা এই ব্যাটার।
বিরাট কোহলিও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ১৬ করে হাসান আলির শিকার হন ভারতীয় ব্যাটিং সেনসেশন। তবে অধিনায়ক রোহিত শর্মা ৩৭ বলে ফিফটি তুলে নেন। ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে সেঞ্চুরির দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন রোহিত।
শাহিন আফ্রিদির শিকার হয়ে ব্যক্তিগত ৮৬ রানে সাজঘরে ফেরেন ভারতীয় অধিনায়ক। ৬৩ বলের ইনিংসে ৬টি করে চার-ছক্কা হাঁকান রোহিত। রোহিত ফেরার পর বাকি পথটুকু অনায়াসে পাড়ি দেন শ্রেয়াস আয়ার আর লোকেশ রাহুল।
শ্রেয়াস ৫৩ আর রাহুল ১৯ রান নিয়ে বিজয়ীর বেশে মাঠ ছাড়েন। ৩০.৩ ওভারেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ভারত। এর আগে বাবর আজম আর মোহাম্মদ রিজওয়ান দারুণ একটি জুটি গড়েছিলেন। কিন্তু এই জুটি ভাঙতেই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে
পাকিস্তানের ইনিংস। ভারতীয় বোলারদের তোপে ৪২.৫ ওভারেই ১৯১ রানে গুটিয়ে যায় পাকিস্তান। অথচ একটা সময় ২ উইকেটে ১৫৫ রান ছিল পাকিস্তানের। অর্থাৎ মাত্র ৩৬ রানে শেষ ৮ উইকেট হারায় বাবর আজমের দল।
আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে মর্যাদার লড়াইয়ে টস জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা। উদ্বোধনী জুটিতে ৪৮ বলে ৪১ রান তোলেন ইমাম উল হক আর আবদুল্লাহ শফিক।
২৪ বলে ২০ করে মোহাম্মদ সিরাজের বলে এলবিডব্লিউ হন শফিক। সেট হয়ে আউট হয়েছেন ইমাম উল হকও। ৩৮ বলে তিনি করেন ৩৬। ৭৩ রানে ২ উইকেট হারায় পাকিস্তান। তৃতীয় উইকেটে জুটি গড়েন পাকিস্তান দলের দুই ব্যাটিং স্তম্ভ বাবর আজম
আর মোহাম্মদ রিজওয়ান। ১০৩ বলে তাদের ৮২ রানের জুটিটি অবশেষে ভাঙেন মোহাম্মদ সিরাজ। বাবর আজম কাঁটায় কাঁটায় ৫০ করে হন বোল্ড। এরপর সৌদ শাকিল (৬) বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ৩৩তম ওভারে কুলদ্বীপ যাদবের এলবিডব্লিউয়ের
শিকার হন তিনি। ওই ওভারেই কুলদ্বীপ বোল্ড করে সাজঘরে ফেরান ইফতিখার আহমেদকেও (৪)। একটা প্রান্ত ধরে ছিলেন রিজওয়ান। হাফসেঞ্চুরির দোরগোড়ায় ছিলেন তিনি। কিন্তু ৪৯ রানে তাকে দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে
বোল্ড করে দেন জাসপ্রিত বুমরাহ। এরপর আর দাঁড়াতে পারেনি পাকিস্তান। ভারতের জাসপ্রিত বুমরাহ, মোহাম্মদ সিরাজ, হার্দিক পান্ডিয়া, কুলদ্বীপ যাদব আর রবীন্দ্র জাদেজা প্রত্যেকেই নেন দুটি করে উইকেট।