Breaking News

বিশ্বকাপ ২০১৬: অবিস্মরণীয় ‘ব্র্যাথওয়েট’, ইতিহাসে আবারও বিশ্বসেরা ওয়েস্ট ইন্ডিজ

‘কার্লোস ব্র্যাথওয়েট! কার্লোস ব্র্যাথওয়েট!! রিমেম্বার দ্য নেম!’ – ইয়ান বিশপের এই ধারাভাষ্য ক্রিকেট ইতিহাসের পাতায় থাকবে বহু দিন। যে কারণে তার এই কথা বলা, সেই কারণটাও যে অবিস্মরণীয়ই!

গত ২০১৬ বিশ্বকাপ ফাইনালের শেষ ওভারে স্নায়ু সামলে টানা চার ছক্কায় তিনিই যে ইংলিশদের স্বপ্ন গুঁড়িয়ে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শিরোপা এনে দিয়েছিলেন উইন্ডিজকে,

এমন কিছুর দেখা তো হরহামেশাই মেলে না! সেবারের ফাইনালে শেষ ওভারে উইন্ডিজের প্রয়োজন ছিল ১৯ রান। ইংলিশদের সেমিফাইনালের নায়ক বেন স্টোকস ছিলেন বল হাতে,

সেমিফাইনালের বেন ‘বোথাম’ স্টোকসকে ফাইনালে বেন ‘ব্রড’ স্টোকস বানিয়ে ব্র্যাথওয়েট মেরে বসেন টানা চার ছক্কা। তাতেই অসম্ভব সমীকরণটা উইন্ডিজ মিলিয়ে ফেলে ২ বল হাতে রেখেই।

২০০৭ বাদে বাকি সব টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপই বাংলাদেশকে কেবল হতাশা উপহার দিয়েছে।  সে আসরটাও বাড়তি আফসোসও যোগ হয়েছিল মাশরাফি বিন মর্তুজার দলের অভিজ্ঞতায়।

একটু এদিক ওদিক হলেই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জয় তুলে নেওয়া যেত।  ভারতের বিপক্ষে তো ৩ বলে ২ রানের সমীকরণ না মেলাতে পারার আক্ষেপেও পোড়ে বাংলাদেশ!

এর আগে পড়ের দুই ম্যাচে অবশ্য নিয়মিত চিত্রটাই দেখা গেছে। ৫৫ আর ৭৫ রানের  বিশাল ব্যবধানে হেরেছে পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের কাছে।

তবে দলের অর্জনের খাতায় ছিল সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের খাতায় থাকা তামিম ইকবালের নাম, সে আসরে ২৯৫ রান করেছিলেন তিনি। আর ১২ উইকেট নিয়ে শীর্ষ উইকেট শিকারি ছিলেন মোহাম্মদ নবী।

আগের বিশ্বকাপের মতো এই বিশ্বকাপেও বিরাট কোহলি ছিলেন দারুণ ছন্দে। হয়েছেন টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়। যদিও দলকে বিশ্বকাপ জেতাতে পারেননি তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *