বাজে ফিল্ডিং এবং ক্যাচ মিস নিয়ে ক্ষোভ ঝাড়লেন তামিম। বাজে ফিল্ডিং করেও অনেক সময় বাংলাদেশ দল ওয়ানডেতে উৎড়ে গেছে। ব্যাটার কিংবা বোলাররা জিতিয়ে দিয়েছেন ম্যাচ। তাই আড়ালে পড়ে ছিল ফিল্ডিংয়ের ভুলগুলো। হারের পর সেটা সামনে চলে এলো।
বর্তমান বাংলাদেশ দলের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল অবশ্য বরাবরই বলে এসেছেন, হারের পর নয়, জেতার পরও ভুলগুলো নিয়ে ভাবতে হবে।
তামিম মনে করছেন, ফিল্ডিংয়ের সেই ভুলের মাশুলই এবার দিতে হয়েছে জিম্বাবুয়ের কাছে ওয়ানডে হেরে। গত ৯ বছরের জিম্বাবুয়ের কাছে ওয়ানডেতে হারেনি বাংলাদেশ। ১৯ ম্যাচ পর সেই আক্ষেপ মেটালো জিম্বাবুইয়ানরা।
হারারেতে শুক্রবার রাতে ৩০৩ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করে ম্যাচ জিতে নিলো ৫ উইকেট আর ১০ বল হাতে রেখে। ম্যাচ হারের পর বাজে ফিল্ডিং নিয়ে ক্ষোভ ঝাড়লেন তামিম।
বললেন এই সেই দিন (যেদিন বাজে ফিল্ডিংয়ের খেসারত দিতে হলো। বলতে গেলে প্রতিদিনই আমি ফিল্ডিং নিয়ে কথা বলেছি। বলছিলাম, এর জন্য একদিন না একদিন ভুগতে হবে। আজ (শুক্রবার) সেই দিন।
টাইগার দলপতি যোগ করেন, ‘আমরা আগেও ক্যাচ ছেড়েছি, কিন্তু যে কোনোভাবে হোক ম্যাচ জিতে গেছি। কিন্তু যখন আপনি এমন ভালো উইকেটে চারটি ক্যাচ ফেলেন দেবেন ম্যাচ জিততে পারবেন না।
মনে হচ্ছে, এটা নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে আগামী ম্যাচের আগেই। ১৭২ বলে ১৯২ রানের ঝড়ো জুটি গড়ে বাংলাদেশের হাত থেকে ম্যাচ বের করে নেন সিকান্দার রাজা আর ইনোসেন্ট কায়া।
অথচ এই দুই ব্যাটারেরই ক্যাচ ফেলেছেন টাইগার ফিল্ডাররা। ইনিংসের ৪৩তম ওভারে রাজার ক্যাচ ফেলেন বদলি ফিল্ডার তাইজুল ইসলাম। ইনোসেন্ট কায়া তো জীবন পান ৭০ আর ৭৪ রানে।
এমনকি ডেথে রাজার সঙ্গে ৪২ রানের জুটি গড়া লুক জঙউইয়ের সহজ ক্যাচও ফেলেছে বাংলাদেশ। তামিম অবশ্য ক্যাচ ড্রপ ছাড়াও হারের পেছনে বোলার আর ব্যাটারদেরও কিছু দায় দেখছেন।
বোলারদের নিয়ে তার মন্তব্য আমরা সহজেই রান দিয়েছি। এটা বড় মাঠ ডাবল হওয়া স্বাভাবিক। এটা নিয়ে আমি বিরক্ত নই। আমার বিরক্তি হলো আমরা সহজ এক রানও ছেড়ে দিয়েছি এবং ডট বল করে চাপ বাড়াতে পারিনি।
ব্যাটিংয়ে আরও ১৫-২০টা রান বেশি হতে পারতো বলেও মনে করেন তামিম আমাদের আরও ১৫-২০ রান বেশি করা দরকার ছিল। এক উইকেট হারিয়েই আমরা আড়াইশর কাছাকছি তুলে ফেলেছিলাম।
সেই জায়গা থেকে আমাদের আরও ১৫-২০টা রান বেশি করা উচিত ছিল। তাহলেই হয়তো ম্যাচের ফলাফল ভিন্ন কিছু হতে পারতো।