এবারের বিশ্বকাপটা যেন অঘটনেরই। প্রথম পর্বের পর সুপার টুয়েলভেও ঘটছে অঘটন। বৃষ্টি বিঘ্নিত হলেও আয়ারল্যান্ডের কাছে হেরেছে ইংল্যান্ডের মত শক্তিশালী দল। এবার শ্বাসরূদ্ধকর ম্যাচে আরও একটি অঘটনের জন্ম দিলো জিম্বাবুয়ে।
শেষ ওভারের শেষ বলে এসে পাকিস্তানকে ১ রানে হারালো তারা। শ্বাসরূদ্ধকর এই ম্যাচে ৪ ওভারে ২৫ রান দিয়ে জিম্বাবুয়ে অলরাউন্ডার সিকান্দার রাজা নেন ৩টি উইকেট।
দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়ে ম্যাচ সেরা পুরস্কারও জিতে নেন তিনি। তবে ম্যাচ শেষ মুহূর্তে যে পরিস্থিতিতে গিয়ে উপনীত হয়েছিল, তাতে কানি গলা শুকিয়ে গিয়েছিল সিকান্দার রাজার। এমনকি মুখের ভাষাও হারিয়ে গিয়েছিল তার।
ম্যাচ শেষে সেরার পুরস্কার নিতে এসে সিকান্দার রাজা এমনটাই জানালেন। সঞ্চালকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমার কণ্ঠ শুকিয়ে গেছে, ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। সব আবেগ আমাকে চেপে ধরেছে।
দলের সবার এমন পারফরম্যান্সে আমি নিজে কতটুকু গর্বিত, তা বলে বোঝাতে পারবো না। পেসাররা খুব ভালো শুরু করেছিলো যা আমাদের বিশ্বাস যুগিয়েছে। এই মুহূর্তে আর কী বলবো, সেটাই এখন আর চিন্তা করতে পারছি না।’
মনে হচ্ছিল চরম উত্তেজনায় এ সময় গলা ধরে এসেছিল সিকান্দার রাজার। ক্রেইগ এরভিনকে আঙ্গুল উঁচিয়ে কিছু একটা ইশারা করেছিলেন রাজা। সে সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন,
‘আমরা যখন অস্ট্রেলিয়ায় আসি আমার অধিনায়ক আমাকে ঘড়ির ক্যাটালগ দেখিয়ে বলেছিলো, আমি যদি ম্যান অব দ্য ম্যাচ হই তাহলে সে আমাকে কিনে দিবে, আর সে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হলে আমি কিনে দিবো।
আমি তাকে হাত উঁচিয়ে দেখাচ্ছিলাম, আমাকে তার ৩টা ঘড়ি কিনে দিতে হবে।’ ‘আমি আরেকটা জিনিস ভাবছিলাম, সকালে রিকি পন্টিং আমাকে একটা ভিডিও ক্লিপ পাঠায়।
আজকের ম্যাচ নিয়ে আমি খুব উত্তোজিত ও রোমাঞ্চিত ছিলাম। আমি সবসময় আত্মবিশ্বাসী ছিলাম যদিও একটু ধাক্কার দরকার ছিলো। রিকির ভিডিওটা এক্ষেত্রে ভালো কাজে দিয়েছে।’