নেট অনুশীলনে মুস্তাফিজকে দেখে ভয়ংকরই মনে হচ্ছে শ্রীধরনের। ডানহাতি ব্যাটারদের বিপক্ষে বাঁহাতি এই পেসার নতুন বলে ত্রাস সৃষ্টি করবেন, এমন আশা টাইগারদের টেকনিক্যাল কনসালটেন্টের।
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের বোলিং ইউনিট সমীহ জাগানিয়া পারফরম্যান্স দেখিয়েছে। তবে একসময় যাকে পেস আক্রমণের প্রাণ ভাবা হতো, সেই মুস্তাফিজুর রহমান ঘরের বাইরে খুব একটা সুবিধা করতে পারছেন না।
যদিও বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি কোচ শ্রীধরন শ্রীরামের আশা, এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচেই ভয়ংকর মুস্তাফিজকে পাওয়া যাবে। অন্তত নেট অনুশীলনে মুস্তাফিজকে দেখে ভয়ংকরই মনে হচ্ছে শ্রীধরনের।
ডানহাতি ব্যাটারদের বিপক্ষে বাঁহাতি এই পেসার নতুন বলে ত্রাস সৃষ্টি করবেন, এমন আশা টাইগারদের টেকনিক্যাল কনসালটেন্টের। শ্রীধরন বলেন সে যেভাবে নেটে প্র্যাকটিস করছে, ডানহাতিদের বল করছে, সে অনুযায়ী সে অনেক ভয়ংকর।
ডানহাতিদের বিপক্ষে নতুন বল সুইং করানো শুরু করলে তাকে সেরা ছন্দে পাওয়া যাবে। আশা করছি তাই হবে। যদিও ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে একাদশ নিয়ে কোনো আভাস দিতে চাননি কোচ।
আফগানরা তাই ম্যাচের একাদশ প্রকাশের আগে জানতে পারবে না, বাংলাদেশ ২ পেসার নাকি ৩ পেসার নিয়ে খেলবে। শ্রীধরনের জবাব, ‘না, আমি কোনো ইঙ্গিত দিতে চাই না। কাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
তবে খেলোয়াড়রা জানে! শারজায় সাধারণত স্পিনাররা বাড়তি সুবিধা পান। সেই কথা মাথায় রেখে স্পিনারদের প্রাধান্য দিয়ে একাদশ সাজাতে পারে টাইগাররা। দুবাইয়ের অনুশীলনে অবশ্য পেসাররাই বেশি ফোকাসে ছিলেন।
স্পিনে অভ্যস্ত বাংলাদেশ দল স্পিন বান্ধব কন্ডিশন কাজে লাগাতে পারবা, এমন আশা টেকনিক্যাল ডিরেক্টরের। তিনি বলেন, ‘খেলোয়াড়রা তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন। আমরা কন্ডিশন কাজে লাগিয়ে খেলার চেষ্টা করব।
একাদশ নির্বাচক করা কঠিন হবে বলে মনে করি না। আমরা আমাদের খেলার ধরন সম্পর্কে জানি, আমরা কীভাবে খেলতে চাই তা জানি। আমরা শারজায় অনেক ম্যাচ খেলেছি।
কী প্রত্যাশা করতে হবে সে সম্পর্কে ধারণা আছে। তবে শারজায় অনুশীলনের সুযোগ-সুবিধা ভালো না থাকায় সেখানে অনুশীলন করতে পারিনি। তবে এখানে (দুবাই) যা পেয়েছি তাতেই খুশি।