ইনজুরি ও খারাপ সময় কাটিয়ে দুর্দান্ত রূপে ২২ গজে ফিরেছেন হার্দিক পান্ডিয়া। ভারতীয় এই অলরাউন্ডার এখন ব্যাটে-বলে সমান দক্ষ। গতকাল বল হাতে ৩ উইকেট আর ব্যাট হাতে ১৭ বলে ৩৩* রানের ধ্বংসাত্মক ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন।
তার ফিনিশিং ক্ষমতার দারুণ প্রশংসা হচ্ছে। আজ বাংলাদেশ দলের ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনেও টেকনিক্যাল ডিরেক্টর শ্রীধরন শ্রীরামের দিকে ছুটে গেল এই বিষয়ক প্রশ্ন।
হার্দিক পান্ডিয়াকে নিয়ে প্রশ্নের জবাবে দলে অলরাউন্ডারের প্রয়োজনীয়তার কথা মনে করিয়ে দেন শ্রীরাম, ‘টি-টোয়েন্টিতে অলরাউন্ডারের ভূমিকা অনস্বীকার্য। হার্দিক পান্ডিয়া-বেন স্টোকসের মতো ক্রিকেটার তো বেশি আসে না।
এমন অলরাউন্ডার দলে ভারসাম্য আনে। কখনো একজন অতিরিক্ত ব্যাটসম্যান খেলাতে পারবেন, কখনো বোলার। কোথায় যেন পড়লাম, ভারত দলে ১২ জন খেলছে। হার্দিক পান্ডিয়ার মতো অলরাউন্ডার আছে বলেই তো।
তবে আমাদেরও সাকিব আছে। ৪ ওভার বোলিং করতে পারে, টপ অর্ডারে ব্যাটিং করে। এর আগে সাকিবের অনুপস্থিতিতে বেশ কয়েকবার দল সাজাতে বেকায়দায় পড়েছিল বাংলাদেশ।
এখন সাকিব দুই ফরম্যাটের অধিনায়ক। সাকিবের প্রশংসা করে শ্রীরাম বলেন, ‘খেলোয়াড়দের কাছ থেকে কী প্রত্যাশা, সে ব্যাপারে স্বচ্ছ ধারণা আছে সবারই। অধিনায়কও এখানে দুর্দান্ত।
দলের কাছে তার প্রত্যাশার কথাও সে ভালোভাবে তুলে ধরেছে। টি-টোয়েন্টির ব্যাপারে তার ভাবনা খুবই আধুনিক। বাংলাদেশ ক্রিকেটে এটি খুবই ব্যতিক্রমী। সাকিবের প্রশংসা করে শ্রীরাম আরো বলেন, ‘সাকিব বুদ্ধিমান ক্রিকেটার।
ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের গতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে প্রতিনিয়ত উন্নতি করতে হবে। এই কাজটায় সাকিব দুর্দান্ত। যারা লম্বা সময় ধরে ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করছে, তাদের সাফল্যের পেছনে গোপন বিষয় একটাই―তারা নিজেদের খেলায় উন্নতিটা ধরে রাখে।
উন্নতির মধ্য দিয়েই বোলার বা ব্যাটসম্যানকে হারাতে থাকে। যদি সে এটা করে, এর কৃতিত্ব তারই। এই জন্যই সে ভালো একজন খেলোয়াড়। ’