অ্যাঙ্কলের ইনজুরিতে দীর্ঘদিন ধরে মাঠের বাইরে রয়েছেন ব্রাজিলিয়ান তারকা ফরোয়ার্ড নেইমার দ্য সিলভা জুনিয়র। কেবল ফরাসি ক্লাব পিএসজির হয়েই নয়, তার পুরো ক্যারিয়ারের বড় একটি সময় ইনজুরির কারণে শেষ হয়ে গেছে।
ইনজুরিতে পড়ার আগে তাকে ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে পিএসজির পক্ষ থেকে জোর গুঞ্জন শোনা যায়। পরবর্তীতে সেটি ধীরে ধীরে স্তিমিত হয়ে পড়ে। তবে আবারও নতুন করে ব্রাজিল ফরোয়ার্ডের দলবদল নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।
তাকে দলে ভেড়াতে মুখোমুখি হয়েছে দুটি ইংলিশ ক্লাব। সর্বশেষ গত ফেব্রুয়ারিতে নেইমারকে নিতে আগ্রহের কথা জানিয়েছিল প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব চেলসি। সেই সময় ইংলিশ ক্লাবের পক্ষ থেকে পিএসজির মালিক নাসির আল খেলাইফির সঙ্গে
যোগাযোগের কথাও জানিয়েছিল ক্রীড়াভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইএসপিএন। এবার সেই দলবদলের আলোচনায় যোগ দিয়েছে এরিক টেন হাগের দল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। এর আগে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা জিততে না পারায়
নাসের আল খেলাইফি নেইমারের বিক্রির ঘোষণা দেন। এরপরই তাকে কিনতে আগ্রহ দেখায় চেলসি। নেইমারকে আগে থেকেই পছন্দের তালিকায় রেখেছিলেন চেলসির মালিক টড বোয়েলি।
খেলাইফির সঙ্গে বোয়েলি নেইমারকে বিক্রির অপশন জানতে চেয়েছেন বলেও খবর বেরিয়েছে। এর ভেতরই আরেক ফরাসি সংবাদমাধ্যম ফুট মারকাতো দাবি করেছে, নেইমারের পরিস্থিতির ওপর কয়েক মাস ধরেই চোখ রেখেছে রেড ডেভিলসরা।
জানুয়ারির দলবদলের সময়ও নাকি নেইমারের বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়েছিল প্রিমিয়ার লিগের ধনী ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। তবে তখন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড কেনা-বেচা নিয়ে বেশ জটিল অবস্থায় পড়েছিল গ্লাজের ফ্যামিলি।
যার কারণে তখন নেইমারকে কিনতে পারেনি তারা। তবে আবারও নতুন করে আগ্রহ দেখিয়ে ইংলিশ লিগের সবচেয়ে সফল দলটি। মৌসুমের শুরুর ট্রান্সফারেও ব্রাজিলিয়ান তারকাকে ছেড়ে দিতে চেয়েছিল ক্লাব কর্তৃপক্ষ।
কিন্তু সে সময় তাকে কিনতে আগ্রহী কোন ক্লাবকে তারা খুঁজে পায়নি। যদিও ২০২৭ সালের জুন পর্যন্ত ৩১ বছর বয়সী নেইমারের সঙ্গে প্যারিসিয়ানদের চুক্তির মেয়াদ ছিল। বড় ম্যাচের আগে ইনজুরিতে পড়ায় তাকে বিক্রির
চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন ক্লাবটির সভাপতি। ইতোমধ্যে ইনজুরি থেকে পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার শেষদিকে আছেন নেইমার। কিন্তু এখনই তিনি মাঠে নামতে পারছেন না। গোড়ালির ইনজুরি তাকে পুরো মৌসুম থেকে ছিটকে দিয়েছে।
ইনজুরিতে পড়ার আগে অবশ্য দারুণ ছন্দে ছিলেন নেইমার। পিএসজির হয়ে চলতি মৌসুমে ২৯ ম্যাচে করেছিলেন ১৯ গোল।