দিল্লির হয়ে আরুও এক বার আমিরাত লিগে খেলার সুযোগ পাচ্ছেন মুস্তাফিজরা। এর আগে দল পেয়েছিলেন, ম্যাচ খেলার সুযোগও পেয়েছিলেন। তবে নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী পারফর্ম করতে পারেননি মুস্তাফিজুর রহমান। দিল্লি ক্যাপিটালসের জার্সিতে আট ম্যাচ খেলে ৮টি উইকেট নিয়েছিলেন বাংলাদেশের এই পেসার।
অ্যানরিখ নরকিয়া দলে ফেরার পর আর একাদশে সুযোগ পাননি মুস্তাফিজ। দিল্লির হয়ে সবগুলো ম্যাচে একাদশে সুযোগ না পেলেও দিল্লির জার্সিতে আরব আমিরাত টি-টোয়েন্টি লিগে খেলার সুযোগ পেতে পারেন মুস্তাফিজ।
শুধু মুস্তাফিজ নয়, টুর্নামেন্টটিতে খেলার সুযোগ থাকছে নরকিয়া, ডেভিড ওয়ার্নার, মিচেল মার্শদেরও। আরব আমিরাতের টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের নিয়ম অনুযায়ী, ড্রাফট বা নিলামের আগে নিজেদের আইপিএল দল থেকে চারজন করে ক্রিকেটার নিতে পারবে আইপিএলের
ফ্র্যাঞ্চাইজিরা।
তবে টুর্নামেন্টটিতে খেলার জন্য অনাপত্তি পত্র নিতে হবে নিজস্ব দেশের ক্রিকেট বোর্ডের। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংযুক্ত আারব আমিরাত ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) সাধারণ সম্পাদক মুবাশির উসমানি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজি তাদের পছন্দ মতো চারজন ক্রিকেটার ড্রাফট বা নিলামের আগে নিতে পারবে।
যা আমরা পরে (ড্রাফট নাকি নিলাম) সিদ্ধান্ত নেবো। এটি যেকোনো খেলোয়াড় হতে পারে, যার নিজস্ব বোর্ডের অনাপত্তি পত্র রয়েছে। দিল্লি ছাড়াও আরব আমিরাত টি-টোয়েন্টি লিগে দল রয়েছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ও কলকাতা নাইট রাইডার্স।
চাইলে দিল্লির মতো করে আন্দ্রে রাসেল, সুনীল নারিনকে দলে নিতে পারে কলকাতা। আর মুম্বাই দলে ভেড়াতে পারে কাইরন পোলার্ড, টিম ডেভিড ও জফরা আর্চারের মতো ক্রিকেটারদের।
আইপিএলের তিন ফ্র্যাঞ্চাইজিরা ছাড়াও টুর্নামেন্টটিতে রয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মালিকের গ্ল্যাজার পরিবার, ভারতের আদানি গ্রুপ এবং ক্যাপ্রি গ্লোবালের দল। ২০২৩ সালের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে মাঠে গড়াতে পারে টুর্নামেন্টটি। স্কোয়াড বানাতে ২ মিলিয়ন ডলার করে খরচ করতে পারবে দলগুলো।