বিপদ কাটিয়ে বাংলাদেশ পেয়েছে ২৭১ রানের লড়াকু সংগ্রহ। ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা চোটে পড়েছেন। তিনি ওপেন করতে নামতে পারেননি। এর মধ্যে আবার শুরুতেই আবার সফরকারিদের ধাক্কা দিয়েছেন এবাদত হোসেন।
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে তিনি বোল্ড করে দিয়েছেন ভারতীয় ব্যাটিংয়ের বড় স্তম্ভ বিরাট কোহলিকে (৫)। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৩।৪ ওভার শেষে ভারতের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১৪ রান।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৬৯ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল টাইগাররা। ১৯ ওভারও হয়নি তখন। বাংলাদেশের আকাশে ছিল ঘোর অন্ধকার। এই জায়গা থেকে ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব? হয়তো ভাবতে পারেননি কেউই।
তবে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আর মেহেদি হাসান মিরাজ ভাবলেন। অন্ধকার কাটিয়ে দলকে আলোর পথ দেখালেন এই যুগল। ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে তাদের লড়াকু এক জুটিতে বাংলাদেশ পায় ৭ উইকেটে ২৭১ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ।
মিরাজ পেয়েছেন ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। মাহমুদউল্লাহর হাফসেঞ্চুরি ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ২৭তম। সপ্তম উইকেটে তারা ১৬৫ বলে গড়েন ১৪৮ রানের জুটি।
যে কোনো উইকেটে যেটি কি না ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের রেকর্ড। ৪৭তম ওভারে উমরান মালিকের বলে মাহমুদউল্লাহ আউট হন ৭৭ রান করে। ৯৬ বলে গড়া তার দায়িত্বশীল ইনিংসে ছিল ৭ বাউন্ডারির মার।
তবে মিরাজকে আটকাতে পারেননি ভারতীয় বোলাররা। শেষ ওভারে তার সেঞ্চুরির জন্য দরকার ছিল ১৫ রান। শার্দুল ঠাকুরের করা ওভারের দ্বিতীয় আর চতুর্থ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে চলে আসেন মিরাজ।
পঞ্চম বলে ২ আর ইনিংসের একদম শেষ বলে সিঙ্গেলস নিয়ে সেঞ্চুরির উচ্ছ্বাসে ভাসেন এই অলরাউন্ডার।