শেষ ওয়ানডেতে দারুণ ব্যাটিংয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন আফিফ হোসেন। হোয়াইটওয়াশ লজ্জা এড়ানোর ম্যাচে ব্যাটিংটা আগের দুই ওয়ানডের চেয়ে খারাপই হয়েছে বাংলাদেশের। একটা সময় তো মনে হচ্ছিল লড়াকু পুঁজি পাওয়াও কঠিন হবে।
তবে সেই শঙ্কা কাটিয়ে দিয়েছেন তরুণ আফিফ হোসেন ধ্রুব। দারুণ ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশকে ২৫৬ রানের পুঁজি এনে দেওয়ার মূল কারিগর ছিলেন এই আফিফ। ১২৪ রানে বাংলাদেশের ৪ উইকেট পড়ার পর উইকেটে আসেন বাঁহাতি এই ব্যাটার।
বাকি সময়টাই তিনিই দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব পালন করেছেন। ৮১ বলে ৬ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় ৮৫ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন আফিফ। দারুণ ব্যাটিংয়ের সুবাদে তৃতীয় ওয়ানডের ম্যাচসেরার পুরস্কারটিও উঠেছে তারই হাতে।
এদিকে আগের দুই ওয়ানডেতে বাংলাদেশকে বলতে গেলে একাই হারিয়ে দেওয়া সিকান্দার রাজা জিতেছেন সিরিজসেরার পুরস্কার। সিরিজে ২৫২ রানের সঙ্গে বল হাতে ৫ উইকেট নিয়েছেন জিম্বাবুইয়ান এই অলরাউন্ডার। তিন ম্যাচের সিরিজ আগেই হাতছাড়া হয়ে গেছে।
শেষ ওয়ানডেটি বাংলাদেশের জন্য ছিল কেবলই মান রক্ষার, হোয়াইটওয়াশ লজ্জা এড়ানোর। এমন এক ম্যাচে এসে অবশেষে জ্বলে উঠলো টাইগার বাহিনী। জিম্বাবুয়েকে ১০৫ রানে হারিয়ে সান্ত্বনার জয় তুলে নিলো তামিম ইকবালের দল।
এটি আবার ছিল বাংলাদেশের ৪০০তম ওয়ানডে ম্যাচ। হারারেতে প্রথমে ব্যাট করে ৯ উইকেটে ২৫৬ রান তুলেছিল বাংলাদেশ। জবাবে ৩২.২ ওভারেই ১৫১ রানে গুটিয়ে গেছে জিম্বাবুয়ে।
স্বাগতিক দলের এই রানও হয়েছে শেষ উইকেট জুটির কল্যাণে। ৮৩ রানে ৯ উইকেট হারানোর পর এনগারাভা আর নিয়াচি যোগ করেন ৫৮ বলে ৬৮ রান। শেষ পর্যন্ত এই জুটিটি ভাঙেন মোস্তাফিজ, ভিক্টর নিয়াচিকে (২৬) করেন বোল্ড।
এনগারাভা অপরাজিত থেকে যান ৩৪ রানে। শেষ ম্যাচে হাসলেও ভুলে যাওয়ার মতো এক সফর গেলো বাংলাদেশের। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজটা ১-২ ব্যবধানে হেরেছে, এর আগে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও একই ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিল সফরকারী দল।