মাত্র দুই মিনিটের ব্যবধানে পাল্টাপাল্টি গোল। ক্রোয়েশিয়া এবং মরক্কোর মধ্যকার তৃতীয়স্থান নির্ধারণী ম্যাচটি যতটা না পানসে হবে ভাবা হয়েছিলো, ততটা নয়। বরং, টান টান উত্তেজনায় শেষ হলো ম্যাচটির প্রথমার্ধ।
পাল্টাপাল্টি গোলের পর আরও একটি দিয়েছিলো ক্রোয়েশিয়া। যার ফলে, প্রথমার্ধ শেষে মরক্কোর বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে ক্রোয়েশিয়া। ম্যাচের শুরু থেকেই ছিল আক্রমণ আর পাল্টা আক্রমণের পসরা।
দুই দলই ওপেন নেটে খেলতে শুরু করে। যেন হারানোর কিছুই নেই। গ্রুপ পর্বে একবার মুখোমুখি হয়ে দু’দল কেউ কারো জালে বল প্রবেশ করাতে পারেনি। তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে এসে প্রথমার্ধেই হয়ে গেলো ৩ গোল।
বল দখলের লড়াইয়ে কিছুটা এগিয়েছিলো ক্রোয়েশিয়া। তাদের দখলে ছিলো ৫৯ ভাগ বল এবং ৪১ ভাগ বল ছিলো মরক্কোর দখলে। ম্যাচের সপ্তম মিনিটেই দুর্দান্ত এক হেডে ক্রোয়েশিয়াকে এগিয়ে দেন জসকো জিভার্ডিওল।
এ সময় বক্সের সামনে ফ্রি-কিক পেয়েছিলো ক্রোয়েশিয়া। মদ্রিচ গোলে শট না নিয়ে বক্সের মধ্যেই বাতাসে বলটা তুলে দেন। পোস্টের বাম পাশে হেড করেন ইভান পেরিসিচ। সেখান থেকে ভেসে আসা বলে আবারও হেড
করে মরক্কো গোলরক্ষক ইয়াসিন বোনোকে ফাঁকি দিয়ে গোল করেন জিভার্ডিওল। ২ মিনিট পর, খেলার ৯ম মিনিটে আবারও গোল। এবার গোল দিলো মরক্কো। ঠিক একইভাবে। অর্থ্যাৎ ফ্রি-কিক থেকে ভেসে আসা বলে।
হাকিম জিয়েচ ডান পাশ থেকে কিক নেন। খুব জোরালো ছিল না কিকটা। তবে মাজের বলটি পেয়ে পোস্টের মধ্যে রাখেন। সেখানে দৌড়ে এসে আশরাফ দারি দারুন এক হেডে ক্রোয়েশিয়ার জালে বল জড়িয়ে দেন।
১-১ গোলে সমতায় আসার পর দুই দলই আক্রমণ আর পাল্টা আক্রমণে এসে খেলেছে। অনেকগুলো গোলের সুযোগও তৈরি করেছে। কিন্তু গোল পায়নি। তবে ম্যাচের ৪৩তম মিনিটে মিস্লাভ ওরসিচ গোল করে এগিয়ে দেন ক্রোয়েশিয়াকে।
তার শটটি গোলরক্ষক বোনোর মাথার ওপর দিয়ে গিয়ে সাইডবারে লেগে জালে প্রবেশ করে।