সেই ভিডিওটি মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায় এবং ভিডিওর ক্যাপশনে লেখা হয় মাকে জড়িয়ে ধরেছিলেন মেসি। বিশ্বের অনেক নামি-দামি মিডিয়াও সংবাদ প্রকাশ করে, মেসি যাকে জড়িয়ে ধরেছিলেন তিনি তার মা।
কেউ কেউ আবার লিখেছিলেন, না ইনি মেসির মা নন। ইনি আসলে আগুয়েরোর মা। আগুয়েরো ছোটবেলা থেকেই মেসির বন্ধু। মূলত ওই নারী মেসি কিংবা আগুয়েরো- কারোরই মা নন। তিনি আসলে আর্জেন্টিনা ফুটবল দলের রাঁধুনি।
তার নাম আন্তোনিও ফারিয়াস। শুধু একজন রাঁধুনি হিসেবে নন, তিনি আর্জেন্টিনা খেলোয়াড়দের কাছেও খুব জনপ্রিয়। তাকে মায়ের মমতায় মেসির জড়িয়ে ধরাই এর প্রমাণ।
প্রায় একযুগেরও বেশি সময় ধরে মেসিদের রাঁধুনি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন তিনি। আর্জেন্টিনা ফুটবল দল যেখানেই যায়, সেখানেই সফরসঙ্গী হন তিনি।
গত বছর মারাকানা স্টেডিয়ামে ব্রাজিলকে হারিয়ে কোপা আমেরিকা জয়ী আর্জেন্টিনা দলের সঙ্গেও ছিলেন এবং গত জুনে ফাইনালিসিমায় ইতালিকে হারিয়ে যে শিরোপা জিতেছিলো আর্জেন্টিনা, সে দলের সঙ্গেও ছিলেন।
শুধু তাই, চার বছর আগে রাশিয়া বিশ্বকাপেও দলের সঙ্গে মূল রাঁধুনি হিসেবে সফর করেছিলেন আন্তোনিও ফারিয়াস। অসাধারণ রান্নার গুনের কারণে ফারিয়াস আর্জেন্টিনা দলের ফুটবলারদের খুব প্রিয় এক ব্যক্তিত্ব।
শুধু রান্নাই নয়, বিভিন্ন উপলক্ষে- যেমন কারো জন্মদিন, তিনি স্পেশাল কেক বানাতেও পারদর্শী। সদ্য হাসিখুশি এই নারী তাই মেসিদের এতটা প্রিয় হয়ে উঠতে পেরেছেন। যাকে বিশ্বকাপ জয়ের পর মাঠে দেখেই জড়িয়ে ধরেছিলেন মেসি।
আর্জেন্টিনা অধিনায়ক পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও শিরোপা উদযাপন করেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন স্ত্রী আনতোনেল্লা রোকুজ্জো, তাদের তিন ছেলে এবং পরিবারের অন্য সদস্যরা।
বিশ্বকাপ জয়ের পরই মেসির পরিবার মাঠে নেমে আসে। মাঠে নেমে আসেন মেসির খুব প্রিয় বন্ধু ও সাবেক সতীর্থ সার্জিও আগুয়েরো। ছেলে থিয়াগো এবং মাতেওকে কোলে নিয়ে আদর করতে দেখা যায় মেসিকে।
আগুয়েরো মেসিকে কাঁধে তুলে নেন। ১৯৮৬ সালে ডিয়েগো ম্যারাডোনার সেই আইকনিক ছবির পুনরাবৃত্তি ঘটে ২০২২ সালের কাতারে। সতীর্থরাও মেসিকে ঘিরেই উল্লাসে মাতেন।