এই টেস্টে কি ফল আসা সম্ভব? প্রথম দুইদিন খেলা না হওয়ায় এমন প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছিল ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে। তবে ওভালে তিনদিনে পরিণত হওয়া টেস্টে দুইদিনেই ফল বের করে নিয়ে আসছিল ইংল্যান্ড। আলোকস্বল্পতায় তাদের জয়ের অপেক্ষাটা কেবল বেড়েছে।
শেষদিনে দরকার ৩৩ রান, হাতে ১০ উইকেট। প্রথম দিনের খেলা ভেসে গেছে বৃষ্টিতে, দ্বিতীয় দিনের খেলা স্থগিত করা হয়েছিল রানির মৃত্যুর কারণে। তৃতীয় দিন থেকে মাঠে গড়িয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ইংল্যান্ডের মধ্যকার সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় টেস্টের খেলা।
লন্ডনের দ্য ওভালে টস জিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান ইংলিশ অধিনায়ক বেন স্টোকস। আমন্ত্রিত হয়ে ব্যাট করতে নেমেই ইংলিশ বোলারদের তোপের মুখে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটাররা।
যার ফলে মাত্র ১১৮ রানেই অলআউট হয়ে যায় সফরকারীরা। ইংলিশ পেসার অলি রবিনসন এবং স্টুয়ার্ট ব্রডের আগুনে বোলিংয়ে একের পর এক উইকেট বিসর্জন দিতে থাকেন প্রোটিয়া ব্যাটাররা।
রবিনসন ১৪ ওভারে ৪৯ রান দিয়ে একাই নেন ৫ উইকেট। স্টুয়ার্ট ব্রড নেন ৪১ রান দিয়ে ৪ উইকেট। জবাব দিতে নেমে প্রথম ইনিংসে ১৫৮ রানে গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ডও।
৭ উইকেটে ১৫৪ রান নিয়ে চতুর্থ দিন শুরু করা বেন স্টোকসের দল আর মাত্র ৪ রান যোগ করতে হারায় বাকি ৩ উইকেট। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৭ রান করেন অলি পোপ।
প্রোটিয়া দুই পেসার মার্কো জানসেন ৩৫ রানে ৫টি আর কাগিসো রাবাদা ৮১ রানে নেন ৪টি উইকেট। প্রথম ইনিংস শেষে দুই দলই লড়াইয়ে ছিল। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকা দ্বিতীয়বার ব্যাটিংয়ে নেমে ফের ১৬৯ রানে গুটিয়ে যায়।
ইংল্যান্ড হাতে নিয়ে নেয় ম্যাচের লাগাম। অথচ এবার প্রোটিয়াদের শুরুটা হয়েছিল ভালো। একটা সময় ১ উইকেটে ছিল ৮৩ রান। শেষ ৯ উইকেট দক্ষিণ আফ্রিকা হারিয়েছে ৮৬ রানে।
দলের পক্ষে অধিনায়ক ডিন এলগার করেন সর্বোচ্চ ৩৬ রান। ইংলিশ বোলারদের মধ্যে তিনটি করে উইকেট নেন স্টুয়ার্ট ব্রড আর বেন স্টোকস। দুটি করে উইকেট শিকার জেমস অ্যান্ডারসন আর অলি রবিনসনের।
ইংল্যান্ডের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৩০ রানের। এবার আর ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েনি ইংলিশরা। অ্যালেক্স লিস আর জ্যাক ক্রলি উদ্বোধনী জুটিতেই অবিচ্ছিন্ন ৯৭ রানে।
ক্রলি ৫৭ আর লিস ৩২ রানে অপরাজিত আছেন। পঞ্চম দিনে কেবল জয়ের আনুষ্ঠানিকতা বাকি স্বাগতিকদের! তাতে ২-১ ব্যবধানে সিরিজও নিশ্চিত হয়ে যাবে বেন স্টোকসের দলের।