পিএসজির দু:সময় যেন পিছু ছাড়ছে না । দলের এক সতীর্থের সঙ্গে আরেকজনের বনিবনা হচ্ছে না। ইতোমধ্যে লিওনেল মেসি ও কিলিয়ান এমবাপ্পের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে। এরই মাঝে শোনা গেছে, ক্লাব কর্তাদের সঙ্গে নেইমারের সম্পর্কটাও ভালো যাচ্ছে না।
সেই সুরে তাল মিলিয়ে সমালোচকরা বলছেন, পিএসজিতে গৃহযুদ্ধ লেগে গেছে। ফুটবল বিষয়ক জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম গোল ডটকমের প্রতিবেদনেও তা আঁচ পাওয়া গেছে।
এই প্রেক্ষাপটে দলের একের পর এক তারকা ফুটবলার ইনজুরিতে পড়ছেন। পরিপ্রেক্ষিতে ম্যাচ হেরেই চলেছে দ্য পারিসিয়ানরা। কয়েকদিন আগে কোপ দি লা লিগের রাউন্ড ১৬তে মার্শেইয়ের কাছে হারে পিএসজি।
ওই রেশ না কাটতেই ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ানে মোনাকোর বিপক্ষে ৩-১ গোলে হেরেছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। চোটের কারণে এই ম্যাচে ছিলেন তাদের সুপারস্টার মেসি ও এমবাপ্পে। তবে মাঠে ছিলেন নেইমার।
কিন্তু ঠিক জায়গায় সময়মতো বল পাননি তিনি। এতে সতীর্থদের ওপর বেজায় চটেছেন ব্রাজিল ফুটবলের পোস্টার বয়। খেলায় হারের পর সতীর্থ ভিতিনহা ও হুগো একিতিকেকে ধুয়ে দেন নেইমার।
এছাড়া স্পোর্টিং ডিরেক্টর লুইস কাম্পোসের সঙ্গে তর্কে জড়ান তিনি। এতে ড্রেসিংরুম উত্তপ্ত হয়ে পড়ে। ম্যাচ চলাকালে উপযুক্ত স্থানে পাস দেননি ভিতিনহা ও একিতিকে। প্রতিপক্ষের গোলপোস্টের সামনে বাজে সিদ্ধান্ত নেন তারা।
এতে হতাশ হয়ে পড়েন নেইমার। পরে উভয়ের ওপর রাগ ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। ম্যাচের পর ক্লাবের ক্রীড়া উপদেষ্টা কাম্পোসের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় করেন নেইমার। তার স্বদেশী মারকুইনহোসও সেই বিতর্কে জড়ান।
এতে সাজঘর অশান্ত হয়ে ওঠে। ফুটবল বিষয়ক প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম এল‘ইকুইপের তথ্য অনুসারে, মাঠে আগ্রাসী মনোভাব না দেখানোয় পিএসজি ফুটবলারদের ওপর চটে যান কাম্পোস।
কারণ, দুই সিনিয়র খেলোয়াড় স্কোয়াডের বাইরে ছিলেন। তাদের অনুপস্থিতিতে নিজেদের সক্ষমতা প্রমাণ করতে পারেননি অন্যরা।