নাজমুল হোসেন শান্ত- ‘কেউ তো আর নিজে চাইলেই দলে ঢুকতে পারেন না’ কোচিং স্টাফ, নির্বাচকরা আস্থা রাখলেই সুযোগ মেলে জাতীয় দলে। নাজমুল হোসেন শান্তকে সুযোগ দিলে তিনি পারবেন, সেই আস্থাটা টিম ম্যানেজম্যান্ট রাখছে বলেই দলে আছেন এই টপঅর্ডার।
তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই শান্তকে নিয়ে সমালোচনার অন্ত নেই। তিনি কেন বিশ্বকাপ স্কোয়াডে, কেন তাকে দলে সুযোগ দেওয়া হচ্ছে, কেনইবা তার প্রতি এত আস্থা নির্বাচক-টিম ম্যানেজম্যান্টের? এমন প্রশ্ন নিয়মিতই শোনা যায়।
সবমিলিয়ে শান্তর চাপে থাকারই কথা। মাঝে একবার দল থেকে বাদ পড়েছিলেন। টি-টোয়েন্টি দলে কামব্যাক করেছেন শান্ত। আজ খেললেন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে একাদশেও। কেমন করলেন?
শান্ত যে সুযোগ পেয়ে খুব বড় কিছু করে ফেলেছেন, এমন নয়। তবে ওপেনিংয়ে খেলতে নেমে ২৯ বলে ৩৩ রানের একটি ইনিংস খেলেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। বাংলাদেশের ১৩৭ রানের ছোট্ট পুঁজিতে তিনিই ছিলেন সর্বোচ্চ সংগ্রাহক।
দীর্ঘদিন পর দলে ফিরে কতটা চাপে ছিলেন? সংবাদ সম্মেলনে এমন প্রশ্ন উঠতেই শান্ত বললেন, ‘না, ওইরকম চাপে ছিলাম না সত্যি বলতে। কারণ টিম ম্যানেজম্যান্ট, কোচিং স্টাফ, নির্বাচক থেকে সবসময় একটা সাপোর্ট পেয়েছি।
সবাই পাশে ছিল। শান্তর আত্মবিশ্বাস আছে নিজের সামর্থ্যের ব্যাপারে। যোগ করলেন, ‘আমি আমার স্কিলের ব্যাপারে সবসময় বিশ্বাস করি। একটা খারাপ সময় গেছে, চেষ্টা করব সামনে সুযোগ এলে ভালোভাবে কন্টিনিউ করতে।
ওপেনিংয়ে খেলার ব্যাপারে কতটা প্রস্তুত ছিলেন? শান্তর জবাব, ‘আমি যখনই দলে সুযোগ পেয়েছি, তখন থেকেই কোচের সঙ্গে নির্বাচকদের সঙ্গে কথা হয়েছে, সুযোগ পেলে ওপরের দিকে ব্যাট করব।
সেটা আমি অনেক আগে থেকেই জানি। সেই অনুযায়ীই প্রস্তুতি নিয়েছি নতুন বলের। দলে ফেরার দিনে মোটামুটি একটা ইনিংস খেলেছেন। কতটা সন্তুষ্ট? শান্ত বললেন, ‘আমি যেহেতু সেট ছিলাম। যদি লম্বা করতে পারতাম ইনিংসটা ভালো হতো।
ওটাই লক্ষ্য থাকবে, সামনে সুযোগ আসলে বড় ইনিংস খেলতে চেষ্টা করব।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ১৩৭ রান, ছোট পুঁজিই। নিউজিল্যান্ড এই লক্ষ্য টপকে গেছে ৮ উইকেট আর ১৩ বল হাতে রেখেই। কেন বাংলাদেশি ব্যাটাররা ব্যর্থ হলেন?
শান্ত জানান, মাঝে উইকেট হারানোই ভুগিয়েছে। তার কথা, ‘আমরা মিডল ওভারে উইকেট হারিয়ে ফেলেছে। সত্যি বলতে প্রথম ইনিংসে উইকেট এত সহজও ছিল না।
ওই জায়গায় আমরা একটু স্মার্ট ক্রিকেট খেললে হয়তো আরেকটু ভালো হতো। আরেকটু বড় স্কোর হতে পারতো। ব্যাটিং নিয়ে আক্ষেপ থাকলেও দলের বোলারদের বিশেষ করে পেসারদের নিয়ে সন্তুষ্ট শান্ত।
দলের প্রতিনিধি হয়ে আসা এই ক্রিকেটার মনে করছেন, তারা বোর্ডের আরেকটু রান দিয়ে আসতে পারলে লড়াই করা যেতো। শান্ত বলেন, ‘পেসাররা তো নিয়মিতই ভালো করছে।
গত ম্যাচে, এই ম্যাচেও পেস বোলাররা তাদের প্ল্যান অনুযায়ী বল করতে পারছে। বোর্ডে যদি আরেকটু রান থাকতো, তবে ভালো হতো।