স্পিন সহায়ক উইকেটে বল হাতে আলো ছড়ালেন গুডাকেশ মোটি। বাঁহাতি এই স্পিনারের ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে জিম্বাবুয়ে গুটিয়ে গেল অল্পতে। পরে রেমন রিফারের ফিফটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ পেল লিড।
বুলাওয়ায়োতে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিন রবিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) পড়েছে ১৪ উইকেট। জিম্বাবুয়ে অলআউট হয়েছে মাত্র ১১৫ রানে। জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দিন শেষ করেছে ৪ উইকেটে ১৩৩ রান নিয়ে। এগিয়ে আছে তারা ১৮ রানে।
নিজের তৃতীয় টেস্টে মোটি ৭ উইকেট নিয়েছেন ১৪.৫ ওভারে ৩৭ রান দিয়ে। সিরিজের প্রথম টেস্টে দ্বিতীয় ইনিংসে ৫০ রানে ৪ উইকেট ছিল তার আগের সেরা বোলিং।এই দুই দলের মধ্যকার টেস্টে প্রথমবার কোনো বোলার পেলেন ৭ উইকেট।
২০১৩ সালে ব্রিজটাউনে আরেক ক্যারিবিয়ান স্পিনার শেন শিলিংফোর্ডের ৪৯ রানে ৬ উইকেট ছিল আগের সেরা।
কুইন্স স্পোর্টস ক্লাব মাঠে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা দেখেশুনে করেন জিম্বাবুয়ের দুই ওপেনার ইনোসেন্ট কাইয়া ও টানুনুরওয়া মাকোনি।
দুজনে কাটিয়ে দেন ৯ ওভার। এরপরই মাকোনিকে ফিরিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে প্রথম সাফল্য এনে দেন পেসার আলজারি জোসেফ। দারুণ ক্যাচ নেন কিপার জশুয়া দা সিলভা। ২৪ বল খেলে রানের খাতা খুলতে পারেননি মাকোনি।
চামু চিবাবাকে টিকতে দেননি জেসন হোল্ডার। এই পেসার নিজের পরের ওভারে ফিরিয়ে দেন কাইয়াকে। ক্যাচ দেন দুই ব্যাটসম্যানই। কাইয়ার ৫২ বলে ৩৮ রানই শেষ পর্যন্ত হয়ে থাকে জিম্বাবুয়ের সর্বোচ্চ।
পরের ৭ উইকেটই নেন মোটি। প্রথম টেস্টের সেঞ্চুরিয়ান গ্যারি ব্যালান্সের অসুস্থতায় সুযোগ পাওয়া মিল্টন শুম্বাকে শর্ট লেগ ফিল্ডারের ক্যাচ বানিয়ে মোটির শিকার ধরা শুরু। তার পরের ওভারে ক্যাচ তুলে দেন টাফাদজওয়া সিগা।
লাঞ্চ বিরতির আগে ৭০ রানে ৫ উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। বিরতির পর মোটি আবার পরপর দুই ওভারে বিদায় করেন ক্রেইগ আরভিন ও ওয়েলিংটন মাসাকাদজাকে। তার পঞ্চম শিকার ব্র্যান্ডন মাভুটা।
পরে ভিক্টর নিয়াউচি ও টানাকা চিভানগাকে বোল্ড করে গুটিয়ে দেন স্বাগতিকদের। জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুটাও ভালো হয়নি। অষ্টম ওভারে ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েটকে এলবিডব্লিউ করে দেন বাঁহাতি স্পিনার মাসাকাদজা।
দ্বিতীয় উইকেটে পঞ্চাশোর্ধ জুটিতে দলকে এগিয়ে নেন তেজনারাইন চন্দরপল ও রিফার। ১১৮ বলে ৭৩ রানের জুটি ভাঙে চন্দরপলের (৩৬) বিদায়ে। মাভুটাকে সুইপ করার চেষ্টায় ক্যাচ দেন প্রথম টেস্টের ডাবল সেঞ্চুরিয়ান।
রিফার তুলে নেন ফিফটি। এরপরই জার্মেইন ব্ল্যাকউডের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হয়ে যান তিনি (৮৬ বলে ৫৩)। বাঁহাতি স্পিনার মাভুটার পরের ওভারে পুল করতে গিয়ে ক্যাচ দেন ব্ল্যাকউড।
আলোকস্বল্পতায় আগেভাগে খেলা শেষ হওয়ার সময় কাইল মেয়ার্স ৮ ও রোস্টন চেইস ৫ রানে অপরাজিত থাকেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
জিম্বাবুয়ে ১ম ইনিংস: ৪০.৫ ওভারে ১১৫ (মাকোনি ০, কাইয়া ৩৮, চিবাবা ১০, আরভিন ২২, শুম্বা ৩, সিগা ০, টিরিপানো ২৩*, মাসাকাদজা ১, মাভুটা ১, নিয়াউচি ২, চিভানগা ৬; জোসেফ ৯-১-২৯-১, গ্যাব্রিয়েল ৮-২-১৯-০, হোল্ডার ৭-২-১৮-২, মোটি ১৪.৫-৪-৩৭-৭, চেইস ২-০-৪-০)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ম ইনিংস: ৪১ ওভারে ১৩৩/৪ (ব্র্যাথওয়েট ৭, চন্দরপল ৩৬, রিফার ৫৩, ব্ল্যাকউড ২২, মেয়ার্স ৮*, চেইস ৫*; নিয়াউচি ৭-০-২৬-০, মাসাকাদজা ১২-৩-৩২-১, চিভানগা ৬-০-২৮-০, টিরিপানো ৫-০-১৮-০, মাভুটা ১০-১-২৪-২, শুম্বা ১-০-৫-০)