ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে এ পর্যন্ত ডাবল সেঞ্চুরিসহ এক ইনিংসে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড রোহিত শর্মার। ২৬৪ রানে অপরাজিত থেকে সর্বোচ্চ রান এখন তারই দখলেই। কয়েক দিন আগে বাংলাদেশের বিপক্ষে
চট্টগ্রামে সেই রেকর্ড ভাঙার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গিয়েছিলেন ভারতীয় ক্রিকেটার ঈশান কিষান। বিরাট কোহলির সঙ্গে ১৯০ বলে ২৯০ রানের জুটি গড়েছিলেন কিষান। সে ম্যাচে ৩৬ ওভারে আউট হন ঈশান।
ওয়ানডে ক্রিকেটের ৫১ বছরের ইতিহাসে সেদিনই বিশ্ব দেখে ফেলতে যাচ্ছিল প্রথম ব্যক্তিগত ত্রিপল সেঞ্চুরিটি। ঈশানের এই দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের ব্যাপারে মুখ খুললেন ভারতীয় কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কার।
তিনি বলেন, সেদিন ত্রিপল সেঞ্চুরির দেখা দুর্ভাগ্যক্রমে না মিললেও সেটি অচিরেই দেখা যাবে। এবং সেটি ঈশান কিষানের ব্যাট থেকেই। গাভাস্কার আরও বলেন, ‘ঈশান বাংলাদেশের বিপক্ষে চট্টগ্রামে ডাবল সেঞ্চুরি করে নিজেকে চিনিয়েছে।
৫০ ওভারের ম্যাচে ডাবল সেঞ্চুরি দুর্দান্ত কীর্তি। ঈশান সেটি করে ফেলল খুব সহজেই। মাত্র ৩৫-৩৬ ওভারের মধ্যেই সে তা করেছে। এভাবে যদি খেলতে পারে, তা হলে সে ওয়ানডে ক্রিকেটে প্রথম ত্রিপল সেঞ্চুরি পেতেই পারে।
যেভাবে সে ব্যাটিং করে, তাতে ত্রিপল সেঞ্চুরি সে করতেই পারে।’ খবর হিন্দুস্তান টাইমসের। প্রসঙ্গত, আশির দশকে ভিভ রিচার্ডসের ১৮৯ রানের সেই ওয়ানডে ইনিংস বিস্ময়ভূত করেছিল ক্রিকেটপ্রেমীদের।
ক্রিকেটীয় ফোকলরে সেই ইনিংস চিরস্থায়ী হয়ে গেছে। ২৫ বছর আগে ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তানের সাঈদ আনোয়ারের সেই বিধ্বংসী ১৯৪ রানের ইনিংস আক্ষেপ ছড়িয়েছিল তার ভক্তদের মধ্যে—ওই ডাবল সেঞ্চুরি না করতে পারারই আক্ষেপ।
ওয়ানডে ক্রিকেটে সাঈদ আনোয়ারের ১৯৪ রেকর্ড হয়ে টিকে ছিল অনেক বছর। ১২ বছর পর, ২০০৯ সালে জিম্বাবুয়ের চার্লস কভেন্ট্রি বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডেতে ডাবল সেঞ্চুরি আশা জাগালেও তিনিও আটকে গিয়েছিলেন ১৯৪ রানেই।
৫০ ওভারের ক্রিকেটে ডাবল সেঞ্চুরি অবশ্য শেষ পর্যন্ত পেয়েছেন শচীন টেন্ডুলকারই। ২০১০ সালে, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। টেন্ডুলকারের দেখানো পথে ৫০ ওভারের ক্রিকেটে ডাবল
সেঞ্চুরি আছে রোহিত শর্মা, ক্রিস গেইল, বীরেন্দর শেবাগ, ফখর জামান, মার্টিন গাপটিল ও ঈশান কিষানের। এর মধ্যে রোহিতের একারই আছে তিনটি ডাবল সেঞ্চুরি।