একটা সময় ছিল, যখন ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ ঘিরে হতো তুমুল উত্তেজনা। তর্কে জড়াতেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। এক-দু’দিন আগে থেকেই কথার খুই ফুটত পাড়া-মহল্লায়। ২২ গজে প্রতিবেশী দুই দেশের ক্রিকেট যে নানা কারণেই এই উত্তাপের খোরাক হয়েছে।
যার মধ্যে দুই দেশের রাজনৈতিক-কূটনৈতিক রেষারেষি, যুদ্ধংদেহী ভাব কিংবা রাষ্ট্রের নীতিনির্ধারকদের নানা দিক নিয়ে রশি টানাটানিই মুখ্য। সেই ১৯৫২ থেকে শুরু; কালের পরিক্রমায় ক্রিকেট মাঠে তাদের ম্যাচটা হয়ে ওঠে আগুনে।
তবে গত এক দশকে আগুনের তাপটা অনেকখানি কমেছে। আগের মতো জম্পেশ লড়াই প্রায় দেখা যায় না। বেশিরভাগ ম্যাচই হয়ে যায় একপেশে। যেখানে কখনও ভারত, কখনও পাকিস্তান দেখায় দাপট। এশিয়ার বিশ্বকাপখ্যাত এশিয়া কাপে আজ ফের দেখা হচ্ছে দুই দেশের।
তপ্ত মরুর বুকে ম্যাচটি নিয়ে একেবারে উত্তাপ নেই- এটা বলা যাবে না। দুবাই থেকে সুদূরে ছড়িয়ে পড়ছে এর সুবাস। বাংলাদেশসহ পার্শ্ববর্তী দেশগুলোও অপেক্ষায় দারুণ একটা ম্যাচ উপভোগ করবে বলে।
দুই প্রান্তের দুই সেনানী বাবর আজম ও রোহিত শর্মা। ব্যাট হাতে সামনে থেকেই তাঁদের লড়তে হবে আজকের ময়দানে। যেখানে দুই অধিনায়কের কাঁধে থাকছে পথ চেনানোর ভার। ওপেনিংয়ে নামবেন তাঁরা।
শুরুটা যদি সুন্দর হয়, তাহলে হয়তো অনেকটা দূর সেভাবে যাওয়া যাবে। কাগজে-কলমে তাঁরা দুই দেশের অধিনায়কই নন, প্রাণভোমরাও। দারুণ ফর্মে থাকা বাবর আজমই আজ পাকিস্তানের আশার প্রদীপ।
ঠিক একইভাবে চার-ছক্কার ক্রিকেটে বহু ম্যাচের নায়ক রোহিত শর্মাও ভারতের কাণ্ডারি। রোহিতকে নিয়ে এত কথা হতো না, যদি বিরাট কোহলি ফর্মে থাকতেন। তখন হিসাবটা বাবরের সঙ্গে কোহলিরই হতো।
কিন্তু ভারতের জন্য কোহলির অফফর্মই এবার সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তা। তবু এশিয়া কাপের মতো বড় মঞ্চে কোহলির পুরোনো রূপটাই দেখতে চাইছে ভারত। যদি তাদের চাওয়া বাস্তবে মিলে যায়, তাহলে ভারতের জন্য এই আসরটা হতে পারে আরও ঝলমলে।
এশিয়া কাপ এমনতিইে ভারতের জন্য সৌভাগ্যের। সবচেয়ে বেশি সাতবার এই অঙ্গনের চ্যাম্পিয়ন ট্রফিটা হাতে নিয়েছে তারা। সর্বশেষ ২০১৮ এশিয়া কাপের শিরোপা ঘরে নেয় দলটি। তাই এবারও তাদের সম্ভাবনা প্রকট।
অন্যদিকে পাকিস্তান দুবার চ্যাম্পিয়ন হয় এই প্রতিযোগিতায়। এবার শুরুতেই কঠিন পরীক্ষার সামনে দলটি। তবে কঠিনকে জয় করতে পারলে সামনের পরীক্ষাগুলো হয়তো আরও সহজ হয়ে যাবে। সেই আশায় এখন সাকলাইন মুশতাকের