Breaking News

আমিরাত লিগে একাদশে ১১ জনের মধ্যে ৯ জনই বিদেশি ক্রিকেটার !

আমিরাত লিগে একাদশে ১১ জনের মধ্যে ৯ জনই বিদেশি ক্রিকেটার। টি-টোয়েন্টির জনপ্রিয়তার ঊর্ধ্বগতিতে দর্শক হারাচ্ছে ওয়ানডে ও টেস্ট। এরইমধ্যে একের পর এক ফ্র্যাঞ্চাইজ টি-টোয়েন্টি লিগের উত্থানে ওই দুই ফরম্যাটে আরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।

যেমন ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) জন্য বিভিন্ন দেশের ক্রিকেটাররা জাতীয় দলের খেলায় উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছে। জাতীয় দলের খেলার চেয়ে ঢেরগুণ বেশি অর্থ উপার্জন করা যায় সেখানে, তাই আইপিএলে খেলা এখন যে কোনো তারকা ক্রিকেটারের স্বপ্ন।

চলমান পরিস্থিতিতে ক্রিকেট খেলুড়ে দেশগুলোর মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের টি-টোয়েন্টি লিগ। আগামী জানুয়ারিতে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসবে এ টি-টোয়েন্টি লিগের প্রথম আসর।

যেখানে আইপিএলের মতোই টাকা উড়বে। তার সঙ্গে বাড়তি যে বিষয়টি যুক্ত হতে যাচ্ছে সেটি হলো -আমিরাত লিগে প্রতি দলে ১২ জন বিদেশি ক্রিকেটার নেওয়া যাবে। একাদশে থাকতে পারবেন নয়জন বিদেশি।

এমন খবরে আইসিসির পূর্ণ সদস্য দেশগুলোর ঘুম হারাম। কারণ একে তো অঢেল টাকার লোভ, তার ওপর ৯ জন বিদেশি খেলোয়াড় যুক্ত হওয়ার সুযোগ। এতে জাতীয় দলের খেলায় ক্রিকেটারদের পাওয়া অনেকটাই ঝামেলাপূর্ণ হয়ে যাবে।

ভারত ছাড়া সব দেশের ক্রিকেটাররাই ইতোমধ্যে আমিরাত লিগে খেলতে উদগ্রীব। এতে অনেক লিগই নিজেদের জাতীয় দলের মূল ক্রিকেটারদের হয়তো পাবে না। বিশ্ব ক্রিকেটের ভারসাম্য হুমকির মুখে পড়ে যাবে।

উল্লেখ্য আইপিএল সিপিএল পিএসএলের মতো অন্যান্য ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে সর্বোচ্চ চারজন বিদেশি ক্রিকেটার খেলানো যায়। এতেই আর্ন্তজাতিক খেলায় তারকাদের পাওয়া মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে।

জানা গেছে, আইপিএলের পর খেলোয়াড়দের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক দেবে আমিরাত লিগ। ছয় দলের এই টুর্নামেন্টে প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজির জন্য বেতন বরাদ্ধ রাখা হয়েছে সাড়ে ২০ লাখ ডলার।

৯ ক্যাটাগরিতে খেলোয়াড়দের বেতন কাঠামো তৈরি করা হয়েছে। যেখানে শীর্ষে থাকা ক্রিকেটাররা পাবেন ৩ লাখ ৪০ হাজার ডলার। যার সঙ্গে লয়ালিটি বোনাস হিসেবে যোগ হবে ১ লাখ ১০ হাজার ডলার।

এদিকে নবম ক্যাটাগারিতে থাকা ক্রিকেটাররা বেতন হিসেবে পাবেন ১০ হাজার ডলার। বেতন কাঠামোর দিক থেকে প্রতি মৌসুমে সবচেয়ে টাকা আয় করেন আইপিএল খেলা শীর্ষ ক্যাটাগরির ক্রিকেটাররা।

যেখানে আইপিএলের শীর্ষ ক্রিকেটাররা পান ২০ লাখ ডলারের বেশি। একাদশে ৯ বিদেশি খেলোয়াড় রাখার বিষয়ে ঘুম হারাম হলেও কিছু করার নেই।

কারণ বোর্ডের পরিবর্তে এই লিগের মালিক একটি ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠান। আর সব শর্ত পূরণ করে আইসিসির অনুমোদন পেয়েছে এ ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *