রোববার রাতে ভিন্ন তিন দেশে জয় পেয়েছে তিন প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তান। তিনটি ম্যাচই ছিল তুমুল উত্তেজনাপূর্ণ। শেষ পর্যন্ত লড়েই তিন প্রতিবেশি দেশ জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে।
আরব আমিরাতকে বাংলাদেশ, অস্ট্রেলিয়াকে ভারত ও ইংল্যান্ডকে হারিয়েছে পাকিস্তান। অসিদের হারিয়ে তিন ম্যাচের সিরিজটি ২-১ ব্যবধানে জিতেছে ভারত।
এ জয়ের সুবাদে পাকিস্তানের এক বছরে সর্বোচ্চ জয়ের রেকর্ডও নিজেদের করে নিয়েছে রোহিত শর্মার দল। চলতি বছর ভারতের এটি ২১তম টি-টোয়েন্টি জয়। যা কি না এক বছরে সর্বোচ্চ জয়ের বিশ্বরেকর্ড।
২০২১ সালে কুড়ি ওভারের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ২৯ ম্যাচ খেলে ২০টি জিতেছিল পাকিস্তান। এর আগে ২০১৮ সালে তারা জিতেছিল ১৭ ম্যাচ।
চির প্রতিদ্বন্দ্বী দেশের রেকর্ড ভাঙতে ঠিক ২৯ ম্যাচই খেলেছে ভারত। এই ২৯ ম্যাচে তারা জিতেছে ২১টি, হেরেছে সাতটি আর ফল আসেনি এক ম্যাচে।
চলতি বছর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে অন্তত পাঁচ ম্যাচ- অর্থাৎ আরও অন্তত আটটি ম্যাচ খেলবে ভারত।
তাই তাদের সামনে সুযোগ রয়েছে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ জয়ের রেকর্ড আরও বাড়িয়ে নেওয়ার।
এক বছরে সর্বোচ্চ টি-টোয়েন্টি জয়ের রেকর্ড: ১/ ভারত – ২৯ ম্যাচে ২১ জয় (২০২২)। ২/ পাকিস্তান – ২৯ ম্যাচে ২০ জয় (২০২১)। ৩/ পাকিস্তান – ১৯ ম্যাচে ১৭ জয় (২০১৮)।
৪/ উগান্ডা – ২২ ম্যাচে ১৬ জয় (২০২১)। ৫/ ভারত – ২১ ম্যাচে ১৫ জয় (২০১৬)
ভারতের রেকর্ড গড়ার দিন নতুন মাইলফলক স্পর্শ করেছে পাকিস্তানও। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩ রানে জেতা ম্যাচটি ছিল পাকিস্তানের ২০০তম টি-টোয়েন্টি। এই ২০০ ম্যাচে তারা জিতেছে ১২২টি।
এ তালিকায় দুই নম্বরে থাকা ভারত ১৮২ ম্যাচ খেলে জিতেছে ১১৬টি। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ ম্যাচের রেকর্ড:-
১/ পাকিস্তান – ২০০ ম্যাচে ১২২ জয়। ২/ ভারত – ১৮২ ম্যাচে ১১৬ জয়। ৩/ ওয়েস্ট ইন্ডিজ – ১৭১ ম্যাচে ৭০ জয়। ৪/ নিউজিল্যান্ড – ১৭০ ম্যাচে ৮৭ জয়।
৫/ অস্ট্রেলিয়া – ১৬৫ ম্যাচে ৮৬ জয়। ৬/ শ্রীলঙ্কা – ১৬৫ ম্যাচে ৭৪ জয় ।৭/ ইংল্যান্ড – ১৫৮ ম্যাচে ৮১ জয় । ৮/ দক্ষিণ আফ্রিকা – ১৫৭ ম্যাচে ৯১ জয়। ৯/ বাংলাদেশ – ১৩৪ ম্যাচে ৪৬ জয়। ১০/ আয়ারল্যান্ড – ১৩৪ ম্যাচে ৫৫ জয়। ১১/ জিম্বাবুয়ে – ১১২ ম্যাচে ৩৩ জয়। ১২/ আফগানিস্তান – ১০৪ ম্যাচে ৬৮ জয়