মিরাজের ৩ উইকেট এবং শরিফুলের টানা দুই বলে দুই উইকেট নেওয়ার পর ৬ উইকেট হারিয়ে এই মুহূর্তে বিপর্যয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। গায়ানায় কার্টেল ওভারের প্রথম ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে চেপে ধরেছেন বাংলাদেশি বোলাররা।
মিরাজ-শরিফুলদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ধুঁকছে স্বাগতিকরা। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ২২ ওভার শেষে ক্যারিবীয়দের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৫৫ রান। টানা দুই বলে দুই উইকেট নিয়েছেন শরিফুল ইসলাম।
গায়ানার প্রভিডেন্স পার্কে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচটিতে টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। প্রায় সোয়া দুই ঘণ্টা পিছিয়ে যাওয়া ম্যাচটিতে ইনিংসপ্রতি খেলা হবে ৪১ ওভার করে।
এই ম্যাচে বাংলাদেশের ১৩৮তম ক্রিকেটার হিসেবে ওয়ানডে ক্যাপ পেয়েছেন এরই মধ্যে ২২টি কুড়ি ওভারের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ।
তার হাতেই প্রথম ওভার তুলে দেন তামিম ইকবাল। বাঁহাতি ব্যাটার কাইল মায়ার্সের বিপক্ষে প্রথম ওভারে কোনো রান খরচ করেননি নাসুম। তবে একটি ওয়াইড বল করায় প্রথম ওভারটি মেইডেন পাননি তিনি।
নাসুমের দারুণ ওভারের পর দ্বিতীয় ওভারে আক্রমণে আসেন মোস্তাফিজুর রহমান। এ বাঁহাতি পেসারের প্রথম বলটি ছিল মিডল স্টাম্পের ওপর ইনসুইঙ্গার। যা খেলতে গিয়ে পুরোপুরি পরাস্ত শাই হোপ (০)।
তার ব্যাটের ভেতরের কানায় লেগে বল আঘাত হানে স্টাম্পে। বাংলাদেশ পায় প্রথম সাফল্য। সেই চাপ পরে ধরে রাখেন তাসকিন, মিরাজরাও। হাত খুলে খেলতে পারেনি ক্যারিবীয় ব্যাটাররা।
প্রথম ১০ ওভারে মাত্র ৩০ রান তুলতে পারে স্বাগতিক দল। কাইল মায়ার্স আর শামারাহ ব্রুকস শুরুর ধাক্কা সামলে ওঠার চেষ্টা করছিলেন। দ্বিতীয় উইকেটে ৬১ বল খেলে ৩১ রানের ধীরগতির জুটি গড়েন তারা।
১২তম ওভারে এই জুটিটি ভাঙেন মেহেদি হাসান মিরাজ। তার দুর্দান্ত ঘূর্ণিতে কিছুই বুঝে ওঠার আগে স্টাম্প চলে যায় মায়ার্সের। অথচ বলটা ডিফেন্ড করেছিলেন মায়ার্স, বাঁক খেয়ে সেই বল ঢুকে যায় স্টাম্পে।
মায়ার্স আউট হন ২৭ বলে ১০ করে। এরপর আবারও খোলসে ঢুকে পড়ে ক্যারিবীয়রা। অনেকটা সময় উইকেট টিকিয়ে রেখেছিল তারা। ২১তম ওভারে জোড়া আঘাত হানেন শরিফুল।
বাঁহাতি এই পেসারকে তুলে মারতে গিয়ে মিডঅফে বদলি ফিল্ডার এনামুল হক বিজয়ের ক্যাচ হন রান নিতে গলদঘর্ম হওয়া ব্রেন্ডন কিং (৩১ বলে ৮)।
তার ঠিক পরের বলেই শরীরের বাইরের বলে ব্যাট চালিয়ে উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহানের গ্লাভসবন্দী আরেক সেট ব্যাটার শামারাহ ব্রুকস (৬৬ বলে ৩৩)। এই প্রতিবেদন লেখার আগে পর্যন্ত স্কোর;
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ওয়েস্ট ইন্ডিজ- ৯৩/৬ (২৮ ওভার) (ব্রুকস ৩৩, মেয়ার্স ১০,পুরান ১৮*, শেফার্ড ৮* ; মুস্তাফিজ ১/৯, মিরাজ ৩/৩৬, শরিফুল ২/১০)