দলীয় নেতৃত্ব ছেড়েই র্যাঙ্কিং দুইয়ে উঠে আসার গল্প। জো রুটের নেতৃত্বে অ্যাসেজ সিরিজে ভরাডুবির পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছেও যাচ্ছেতাইভাবে হেরেছিল ইংল্যান্ড। যে কারণে নেতৃত্বই ছেড়ে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন রুট।
এমনকি ক্রিস সিলভারউডকের বাদ দেয়া হয় ইংল্যান্ড কোচের পদ থেকে। শেষ পর্যন্ত নতুন নেতৃত্বে আনা হয় বেন স্টোকসকে এবং কোচ হিসেবে যোগ দেন ব্রেন্ডন ম্যাককালাম।
নতুন কোচ এবং অধিনায়কের পথচলাটা মৃসণভাবেই শুরু হলো, প্রথম টেস্টে নিউজিল্যান্ডকে ৫ উইকেটে হারিয়ে। তবে, ইংলিশদের এই জয়ের পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান, নেতৃত্ব ছেড়ে আসা জো রুটের।
নিউজিল্যান্ডকে হারানোর পথে দ্বিতীয় ইনিংসে অনবদ্য ১১৫ রানের ইনিংস খেলেন রুট। তার এই ইনিংসের ওপর ভর করেই অসাধারণ জয়টি এসেছিল।
এই ইনিংসের পুরস্কারও পাচ্ছেন রুট। আইসিসি র্যাংকিংয়ে একলাফে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এলেন তিনি। চতুর্থ স্থান থেকে স্মিথ উইলিয়ামসনকে পেছনে ফেলে উঠে এলেন দুই নম্বরে।
নেতৃত্ব ছাড়ার পর বিশ্বের এক তারকা দিনে দিনে তলানীর দিকে নামছেন, আরেকজন জ্বল জ্বল করছেন। প্রথমজন বিরাট কোহলি। দ্বিতীয় জন জো রুট। বিরাট কোহলির টানা ব্যাটিং ব্যর্থতা চলছেই।
যে কারণে র্যাংকিংয়ে ১০ নম্বরে রয়েছেন তিনি। অন্যদিকে দুর্দান্ত খেলে দুই নম্বরে উঠে এলেন রুট। প্রথম স্থানে থাকা অস্ট্রেলিয়ার মার্নাস ল্যাবুশেনের চেয়ে মাত্র ১০ রেটিং পয়েন্ট পিছিয়ে রয়েছেন রুট।
গত ডিসেম্বরেই অ্যাশেজ চলাকালে ল্যাবুশেনের কাছে শীর্ষস্থান হারান জো রুট। এরপর সংগ্রামের মধ্য দিয়ে এগিয়েছেন তিনি। ইংল্যান্ডকে ৫ উইকেটে জয় এনে দেয়া এক ম্যাচেই ৩৯ রেটিং পয়েন্ট অর্জন করেছেন তিনি।
ক্যারিয়ারের ২৬তম সেঞ্চুরি করে রেটিং পয়েন্টকে ৮৪৩ থেকে উন্নীত করেছেন ৮৮২তে। তৃতীয় স্থানে নামিয়ে দেয়া স্টিভেন স্মিথের পয়েন্ট ৮৪৫। একধাপ এগিয়ে চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছেন পাকিস্তানের বাবর আজম। তার পয়েন্ট ৮১৫।
পঞ্চম স্থানে নেমে গেছেন কেনে উইলিয়ামসন।টেস্টে দুর্দান্ত বোলিং করে নিউজিল্যান্ডের কাইল জেমিসন উঠে এসেছেন তৃতীয় স্থানে। ৬ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। ইংল্যান্ডের পেসার জেমস অ্যান্ডারসনও দুই ধাপ এগিয়ে রয়েছেন সপ্তম স্থানে। তিনিও নিয়েছিলেন ৬ উইকেট