দলে নেই বিশ্বজুড়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে দাপট দেখানো, অভিজ্ঞ ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে কার্যকর কয়েকজন খেলোয়াড়। এই সংস্করণে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সও সাদামাটা।
তারপরও আসছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে উত্তরসূরিদের নিয়ে আশাবাদী ড্যারেন স্যামি। বিশেষ কিছুই ঘটতে যাচ্ছে বলেই স্যামির বিশ্বাস। স্যামির অধিনায়কত্বে ২০১২ ও ২০১৬ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
বর্তমানে দলের শক্তিমত্তা যেমনই হোক, ওয়েস্ট ইন্ডিজকে নিয়ে বড় স্বপ্ন দেখছেন স্যামি। সাবেক ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক মনে করেন, দারুণ কিছু করে দেখানোর সামর্থ্য আছে নিকোলাস পুরানের দলের।
স্যামি বলেন, আমি কখনই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হিসেবের বাইরে রাখব না। সঙ্গে আমার একটা মজার অনুভূতিও হচ্ছে, অস্ট্রেলিয়াতে বিশেষ কিছু ঘটতে যাচ্ছে।
আমি এইমাত্র নিকোলাস পুরানের সঙ্গে কথা বলেছি এবং তার মতে, ছেলেরা ভালোভাবে প্রস্তুত হচ্ছে। এই স্কোয়াড নিয়ে আমার মধ্যে দারুণ অনুভূতি কাজ করছে, কারণ আমাদের অনেক প্রতিভা আছে।
এবারের আসরে প্রাথমিক পর্বে খেলতে হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। ‘বি’ গ্রুপে তাদের সঙ্গী জিম্বাবুয়ে, স্কটল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ড। এখান থেকে শীর্ষ দুই দল যাবে সুপার টুয়েলভে।
এবারের দলটি সবদিক থেকেই ভারসাম্যপূর্ণ মনে হচ্ছে স্যামির কাছে। তার বিশ্বাস, নিজেদের কাজ ঠিকঠাক করতে পারলে অনেকদূর যেতে পারবে সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
তিনি বলেন, বরাবরের মতো দলে ভালো মানের ব্যাটার আছে।কাইল মেয়ার্স দারুণ এক প্রতিভা এবং দুর্দান্ত সব শট খেলে। আর আমরা জানি, নিকোলাস একজন ম্যাচ উইনার।
এবার ভালো ব্যাপারটা হলো, আমাদের হাতে এমন বোলার আছে যারা উইকেট নিতে পারে। প্রতিপক্ষের উইকেট নেওয়ার উপায়টাই গতবার আমাদের জানা ছিল না। এবার আমরা তা জানি।