শুরু থেকেই আগ্রাসী ভঙ্গিমায় খেলতে থাকে বাংলাদেশের ওপেনাররা। দুই বাউন্ডারির সাহায্যে প্রথম ওভারেই ৯ রান নেয় তারা। দ্বিতীয় ওভারে অবশ্য বাংলাদেশের লাগাম টেনে ধরেন আরব আমিরাতের বোলার আরিয়ান লাকরা।
ওপেনিং জুটিতে কেউই থিতু হতে পারছেন না। তাই পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছেই। বিশ্বকাপের আগে সেই পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুযোগে দলে ঢুকে পড়েছেন সাব্বির রহমান। কিন্তু সফল হতে আর পারলেন কই?
সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে সিরিজ পেয়েও নিজেকে প্রমাণ করতে পারলেন না ৩০ বছর বয়সী এই ব্যাটার। প্রথম ম্যাচে শূন্য রানে সাজঘরে ফেরার পর দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও ফিরলেন ৯ বলে ১২ করে।
একটি ছক্কা মেরেছেন, সেটাও ফ্রি-হিটে। ছক্কা মারার তিন বল পরই আউট হয়েছেন সাব্বির। বাঁহাতি স্পিনার আরিয়ান লাকরার বলটি তার পায়ে লাগলে এলবিডব্লিউয়ের আবেদন হয়, আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার।
দলীয় ২৭ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৮ ওভার শেষে টাইগারদের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৬৪ রান। মেহেদি হাসান মিরাজ ২৬ আর লিটন দাস ২৪ রানে অপরাজিত আছেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:-
বাংলাদেশ- ৬৪/১ (৮ ওভার) (মিরাজ ২৬*, লিটন ২৪*)
চতুর্থ ওভারে ফিরে যান সাব্বির।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসভাগ্য সহায় হয়নি বাংলাদেশের। টস জিতে টাইগারদের ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছে আরব আমিরাত।
টি-টোয়েন্টিতে আরব আমিরাতের বিপক্ষে মুখোমুখি দেখায় দুই ম্যাচই জিতেছে বাংলাদেশ। ২০১৬ সালে মিরপুরে জিতেছিল ৫১ রানে। সবশেষ ম্যাচে গত রোববার জেতে ৭ রানে।
এই ওভারে মাত্র তিন রান নেয় মেহেদী হাসান মিরাজ ও সাব্বির রহমান। তৃতীয় ওভারে প্রথম ছক্কার দেখা পায় বাংলাদেশ। ফ্রি হিটে সাবির আলীকে উড়িয়ে মারেন সাব্বির। এই ওভার থেকে টাইগারদের রানের খাতায় যোগ হয় আরও ১৪ রান।